করোনাভাইরাস রাজ্যে কতটা জাঁকিয়ে বসেছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে স্থানীয় থানায় খবর নিলেই টের পাওয়া যাবে। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, স্বাস্থ্য ভবন থাকতে স্থানীয় থানা কেন? কারণ কলকাতা শহরের প্রায় সব থানার পুলিশকর্মী থেকে বড়বাবু এই সংক্রমণে কাবু হয়ে পড়েছেন। একদিন আগে সংখ্যাটা ছিল ১২০। পরদিন সেই সংখ্যা হল ২২৫!
এই পরিস্থিতিতে থানায় পুলিশের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে বাকিদের বাঁচিয়ে থানার কাজ চালিয়ে যাওয়াটাই এখন চ্যালেঞ্জ। এই বাকি পুলিশকর্মীরা যাতে সংক্রমিত না হন, তার জন্য থানার বাইরে প্যান্ডেল বেঁধে কাজকর্ম করার ব্যবস্থা হয়েছে। আবার বেশ কয়েকটি থানার বাইরে ব্যারিকেড করা হয়েছে। যাতে ভিতরে পাবলিক প্রবেশ করতে না পারে। বাইরে থেকেই কাজটা করে দেওয়া যায়।
কোন কোন থানায় করোনাভাইরাস থাবা বসিয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, লালবাজার থেকে স্থানীয় থানা সর্বত্রই এই সংক্রমণ থাবা বসিয়েছে। তার মধ্যে ভবানীপুর থানার প্রায় ৩০ জন পুলিশকর্মী সংক্রমিত হয়েছেন। আর গল্ফগ্রিন, বড়বাজার, কসবা, একবালপুর, মুচিপাড়া, পার্ক স্ট্রিট, সরশুনা, শেক্সপিয়র সরণি, ফুলবাগান, এন্টালি, মানিকতলা এবং হরিদেবপুর থানাতেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন একাধিক পুলিশকর্মী।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ভবানীপুর থানা বাইরে গার্ডরেল বসিয়েছে। গেটে দু’জন পুলিশকর্মী রাখা হয়েছে। থানার বাইরে থেকেই কাজ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বিশেষ কিছু ঘটে থাকলে একজনকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। তাও দেহের তাপমাত্রা মাপার পর। কসবা থানাতেও বাইরে প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বসেই থানার কাজকর্ম করা হবে। আর অবাধ প্রবেশ বন্ধ করেছে গল্ফগ্রিন, মানিকতলা এবং উল্টোডাঙা থানাও।