হাতে আর তিনদিন সময়। তারপরই রাজ্যের মানুষ মেতে উঠবে দুর্গাপুজোর উৎসবে। ইতিমধ্যেই পুজো উপলক্ষ্যে রাস্তায় সারারাত সরকারি বাস থাকবে বলে ঘোষণা করা হযেছে। মেট্রো চলবে সারারাত। এবার বড় ঘোষণা করা হল রেলের পক্ষ থেকে। জেলার মানুষ কলকাতায় এসে উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠার পর রাতে বাড়ি ফেরার জন্য মিলবে লোকাল ট্রেন। অর্থাৎ রাতভর ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিল রেল। শিয়ালদা শাখায় সপ্তমী থেকে নবমী প্রতি রাতে কুড়িটি বাড়তি ট্রেন চালানো হবে।
কোন ট্রেন কখন মিলবে? রেল সূত্রে খবর, শিয়ালদা–দমদম–নৈহাটি–রানাঘাট, শিয়ালদা–বনগাঁ, রানাঘাট–বনগাঁ এবং শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় চলবে বাড়তি ট্রেন। এমনকী শিয়ালদা থেকে রানাঘাট শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ১২.৪০ মিনিটে। আর রানাঘাট থেকে শিয়ালদা ট্রেন ছাড়বে রাত ১১.৪৫ মিনিটে। আবার শিয়ালদা থেকে নৈহাটি যাওয়ার শেষ ট্রেন রাত ১১.৪৫ মিনিট ছাড়বে এবং ২টো ৩০ মিনিটে নৈহাটি থেকে শিয়ালদা আসার জন্য ট্রেন ছাড়বে রাত ১২টা ২৫ মিনিটে। ২.৫৫ মিনিটে শিয়ালদা থেকে বনগাঁ লোকাল ছাড়বে রাত ১২.৪০ মিনিটে। অন্যদিকে শিয়ালদা থেকে ডানকুনি লোকাল ছাড়বে রাত ১১.৩০ মিনিটে এবং বনগাঁ থেকে শিয়ালদা ট্রেন ছাড়বে রাত ১১.৫৫ মিনিটে। ডানকুনি থেকে শিয়ালদা আসার ট্রেন রাত ১২.২৫ মিনিটে ছাড়বে। আর রানাঘাট থেকে বনগাঁ এবং বনগাঁ থেকে রানাঘাট ট্রেন মিলবে রাত ৯.৫৬ মিনিট, ১০টা। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় বারুইপুর থেকে ট্রেন ৪.৩৮ মিনিট, রাত ১.২৫ মিনিট, ৩.১০ মিনিটে বজবজ থেকে ট্রেন পাওয়া যাবে রাত ১২.৩০টায় এবং বজবজের জন্য ট্রেন ছাড়বে রাত ১১.৩০টায়। তবে শিয়ালদা–বারুইপুরের মধ্যে ট্রেন চলবে বিকেল ৩.২০, রাত ১২.৩০, এবং ২.২০ মিনিটে।
হাওড়া শাখায় কেমন ট্রেন চলবে? রেল সূত্রে খবর, হাওড়া থেকেও নানা জায়গায় চলবে বাড়তি ট্রেন। ব্যান্ডেল লোকাল ছাড়বে রাত ১২.৪৫ এবং রাত ১টায়। বর্ধমান মেন লাইনে ১.৫১ মিনিটে ট্রেন মিলবে। ব্যান্ডেল থেকে ট্রেন পাওয়া যাবে রাত ১১টা এবং সাড়ে ১১টায়। তবে বর্ধমান থেকে রাত সাড়ে ১১টায় ছাড়বে হাওড়াগামী ট্রেন। হাওড়া থেকে ছাড়বে কর্ডের ট্রেন রাত ১.১৫ মিনিটে। আর বধর্মান থেকে ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়। শেওড়াফুলি থেকে তারকেশ্বরের ট্রেন ছাড়বে রাত ১২.২৫ মিনিটে এবং তারকেশ্বর থেকে রাত ১১টার সময় ছাড়বে হাওড়ার ট্রেন।
আর কী জানা যাচ্ছে? দুর্গাপুজোর কদিন এই সূচি মেনে চলবে লোকাল ট্রেন। সারারাত ট্রেনের পরিষেবা পেলে দুটি দিক ফুটে উঠবে। এক, মানুষজন সারারাত ট্রেন পেয়ে পুজো উপভোগ করতে পারবেন। বাড়ি ফেরার টেনশন থাকবে না। দুই, জেলা থেকে কলকাতা এবং ফের জেলায় ফেরার জন্য ট্রেন চালু থাকলে পুজোর কদিন রেলের আয় বাড়বে। করোনাভাইরাসের জেরে দু’বছর ট্রেনের লোকসান হয়েছে। এবার তা উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।