মুম্বইয়ের পর এবার কলকাতাতেও চালু হতে চলেছে লোকাল ট্রেন। কীভাবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের বিধি মেনে লোকাল ট্রেন চালু করা যায় তা নিয়ে হাওড়া ও শিয়ালদার আধিকারিকদের ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে পূর্ব রেল। তার পর পরিকাঠামো তৈরি করে চালু করা হবে ট্রেন।
পূর্ব রেল সূত্রের খবর, ‘ট্রেন চালাতে তৈরি তারা। অপেক্ষা শুধু কেন্দ্রের নির্দেশের।’ তার আগে লোকাল ট্রেনে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের বিধি চূড়ান্ত করতে হবে পূর্ব রেলকে। প্রথমে শিয়ালদা ও হাওড়া ডিভিশনে ট্রেন চালু হলেও পরে ধাপে ধাপে অন্যান্য ডিভিশনেও চালু হবে লোকাল ট্রেন।
গত মার্চে লকডাউনের শুরু থেকে বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা। এর জেরে বিশেষ করে সমস্যায় পড়েন কলকাতা ও মুম্বইয়ের যাত্রীরা। কারণ দেশের এই ২ শহরের নিত্যযাত্রীরা প্রধানত লোকাল ট্রেন পরিষেবার ওপর নির্ভরশীল। অন্য শহরে লোকাল ট্রেনের ওপর নির্ভরতা এতটা নয়।
গত ৮ জুন থেকে পশ্চিমবঙ্গে অফিস – কাছারি মোটামুটি খুলে গিয়েছে। তার ওপরে বন্ধ লোকাল ট্রেন। ফলে বাসে করে অফিস পৌঁছতে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। অতিরিক্ত ভাড়া গুণে বেশি সময় পথে থেকে বাঁচাতে হচ্ছে চাকরি।
এরই মধ্যে সোমবার থেকে মুম্বইয়ে লোকাল ট্রেন চালু করে দিয়েছে পশ্চিম রেল। এর জেরে কলকাতায় লোকাল ট্রেন চালানোর দাবি আরও জোরদার হয়েছে। নিত্যযাত্রীদের প্রশ্ন, মুম্বইয়ে সংক্রমণের হার দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেখানে লোকাল ট্রেন চললে কলকাতা কী দোষ করল? এর পরই লোকাল ট্রেন চালাতে উদ্যোগী হয়েছে পূর্ব রেল।
পূর্ব রেল সূত্রের খবর, লোকাল ট্রেন চললেও মানতে হবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের বিধি। স্টেশনে ঢোকার আগে মাপা হবে যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা। টিকিট কাউন্টারেও মানতে হবে দূরত্ব বিধি। তবে সব স্টেশনে কী করে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে ঢোকানো সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।