ঘূর্ণিঝড় দানার জেরে দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছিল শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার লোকাল ট্রেন পরিষেবা। তবে এখন পুনরায় সেই পরিষেবা চালু করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র জেরে আজ সকাল ১০ টা পর্যন্ত শিয়ালদা দক্ষিণ শাখা এবং শিয়ালদা-বারাসত-হাসনাবাদ শাখা লোকাল ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও হাওড়া শাখায় সকাল ১০টা পর্যন্ত একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল ছিল। (আরও পড়ুন: বেতন কমিশনের রিপোর্ট নিয়ো 'লুকোচুরি' জারি, আইনি গ্যাঁড়াকলে পড়বে মমতার সরকার?)
আরও পড়ুন: তাঁর পদত্যাগ নিয়ে ফের জলঘোলা বাংলাদেশে, এহেন শেখ হাসিনা বর্তমানে কোথায় আছেন?
আরও পড়ুন: পূর্ব লাদাখে LAC থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু ভারত ও চিনের: রিপোর্ট
এগিকে বনগাঁ শাখাতেও ট্রেন বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছিল এর আগে। যদিও রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত আটটার পরেও শিয়ালদা-বনগাঁ লাইনে স্বাভাবিক ছিল ট্রেন চলাচল। এদিকে শুক্রবার সকালেও স্বাভাবিক রয়েছে বনগাঁ শাখায় ট্রেন চলাচল। আর সকাল ১০টার পর সব লাইনেই ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে লোকাল ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও শিয়ালদা এবং হাওড়া স্টেশনে নিত্যযাত্রীদের তেমন ভিড় নেই বলে জানা যাচ্ছে। (আরও পড়ুন: ভূভাগে প্রবেশের পর পশ্চিমবঙ্গের জন্য আরও অশনিসঙ্কেত নিয়ে আসবে ঘূর্ণিঝড় দানা?)
আরও পড়ুন: ঘনকালো দুর্যোগের মেঘে ঢাকা আকাশ, ঘূর্ণিঝড়ের 'আউটার-ব্যান্ডের' প্রভাব কলকাতায়
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হওয়ার জেরে যাতে নিত্যযাত্রীরা সমস্যায় না পড়েন, তার জন্যে রাজ্য পরিবহণ দফতর বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করেছিল শিয়ালদা স্টেশন থেকে। যে সব রুটে গতরাতে লোকাল ট্রেন বন্ধ ছিল, সেই সব রুটে রাত ৮টার পর বিশেষ বাস পরিষেবা চালু করা হয় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। মোট ২০টি বাস এর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল শিয়ালদা স্টেশনের বাইরে। হাওড়া স্টেশন থেকেও এই ধরনের বাস পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয় বলে জানা যায়।
এদিকে আজ সকাল ৮টা থেকে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু করে দেওয়া হয়। ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখে গতকাল সন্ধ্যা থেকেই এই বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছিল। একাধিক উড়ান বাতিল করা হয়েছিল এর জেরে। তবে আজ সকালে কিছুক্ষণ আগে থেকে ফের উড়ান ওঠানামা শুরু হয়েছে শহরের বিমানবন্দরে। তবে গাঙ্গেও পশ্চিমবঙ্গে ভোররাত থেকেই ভারী বৃষ্টি জারি আছে। বেলা গড়াতেও প্রবল বর্ষণ সেভাবে কমেনি। তবে দুপুর বা বিকেলের পর থেকে কলকাতায় বৃষ্টি কিছুটা কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে প্রবল বৃষ্টিতে যাতে কলকাতা বিমানবন্দরের রানওয়ে ডুবে না যায়, তার জন্য জল নামানোর উচ্চ ক্ষমতার পাম্প বসিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, রানওয়ের জল নামে কৈখালির কাছে মালিরবাগান এবং রাজারহাটের দিকে মণ্ডলগাঁতি দিয়ে। সেখান থেকে সেই জল হলদিরামের দিক থেকে নিউ টাউন রোড হয়ে বাগজোলা খালে যায়। এই আবহে হলদিরাম এলাকা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে বিধাননগর পুরসভা। প্রসঙ্গত, সেই এলাকায় বর্তমানে গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর কাজ চলছে। এর জেরে নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা সেখানে। তবে জল জমার সমস্যা মেটাতে বিধাননগর পুর এলাকা জুড়ে দেড়শোটির মতো পাম্প প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তী।