সোমবার থেকে শুরু হয়েছে Lockdown 3.0. লকডাউনের তৃতীয় পর্বে একগুচ্ছ ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে রাজ্য সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত গ্রহণ বাকি ছিল। সোমবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে লকডাউনের তৃতীয় পর্বে রাজ্যে কী কী করা যাবে আর কী কী করা যাবে না তা স্পষ্ট করলেন মুখ্যসচিব রাজীব কুমার। গ্রিন, অরেঞ্জ ও রেড জোনের জন্য আলাদা আলাদা বিধিনিয়ম ঘোষণা করেছেন তিনি। দেখে নিন সেই তালিকা।
এদিন মুখ্যসচিব নবান্নে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার একগুচ্ছ ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করেছেন। ছাড় কার্যকর হলে অর্থনীতি কিছুটা সচল হবে। তা ভাল। তবে সেই ছাড় দিলে লকডাউন বহাল রাখা মুশকিল হয়ে যাবে। তাই আমরা চাইলেও সেই ছাড় দিতে পারছি না। তবে রাজ্য সরকার রুজি রুটির পক্ষে।’
সঙ্গে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, এদিনের নির্দেশিকা শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পরিষেবার জন্য। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার জন্য রাজ্য সরকার আগে যে নির্দেশিকা জারি করেছিল তাই বহাল থাকবে।
মুখ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, ‘কনটেনমেন্ট এলাকায় সম্পূর্ণ লকডাউন বলবৎ থাকবে। সেখানে কোনও ছাড় কার্যকর হবে না।’
Lockdown 3.0: পশ্চিমবঙ্গে ছাড়ের তালিকা
১. বাস চলবে
- শুধুমাত্র গ্রিন জোন জেলায় জেলার মধ্যে বাস চলবে।
- বাসে ২০ জনের বেশি যাত্রী উঠতে পারবেন না।
- সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের বিধি মেনে বাস চালাতে হবে।
- বাস নিয়মিত স্যানিটাইজ করতে হবে।
- সরকারি বাস নানা কাজে ব্যস্ত রয়েছে। তাই বেসরকারি বাস মালিকদের বাস - চালানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
২. দোকান খুলবে
- মার্কেট কমপ্লেক্স, মার্কেট এরিয়ার মধ্যে নয় এমন সমস্ত দোকান খোলা যাবে।
- দোকান খোলা থাকবে ১০টা থেকে ৬টা পর্যন্ত।
- মিষ্টির দোকানও ১০টা থেকে ৬টা পর্যন্ত খোলা যাবে।
- চা ও পানের দোকান খোলা যাবে। তবে দোকানে বসে চা খাওয়া যাবে না।
৩. শিল্প
- কম কর্মী নিয়ে শিল্প চালানো যেতে পারে।
- গ্রিন, অরেঞ্জ জোনে খনিতে কাজ শুরু অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
- শহর এলাকায় নির্মাণকাজ শুরু করা যাবে।
- সেজন্য জেলায় জেলাশাসক ও কলকাতায় পুর কমিশনারের আগাম অনুমতি নিতে হবে।
- নির্মাণস্থলেই কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. অফিস
- বেসরকারি অফিস ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করা যাবে। তবে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার পরামর্শ দেবে রাজ্য সরকার।
- আইন ভাঙা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা।
- অফিসের গাড়িতে চালক ছাড়া ২ জন চড়তে পারবেন।
- শপিং মল ও মার্কেট কমপ্লেক্স খোলা যাবে না। সেখানে থাকা অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা চালু থাকে।
- ফুটপাথে হকাররা বসতে পারবেন না। পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
মুখ্যসচিব জানিয়েছেন এখনো পর্যন্ত গোটা রাজ্যে শিল্প ও অফিস চালুর জন্য মোট ১০,০৯৬টি আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে ৪,৩৪০টি অনুমোদন করেছে প্রশাসন। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি চটকল। ৫,৩৬২টি আবেদন বাতিল হয়েছে। ৩৯৪টি আবেদন এখনো খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।