সন্দেশখালির পুলিশ কর্মীদের বাড়িতে মনে হচ্ছে মা - বোন নেই। শুক্রবার সন্দেশখালি যেতে বাধা পেয়ে এই ভাষাতেই পুলিশের ওপর ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন তাঁকে ভোজেরহাটে আটকায় পুলিশ। লকেট ফিরতে না-চাইলে তাঁকে আটক করে লাবাজারে নিয়ে যান পুলিশ আধিকারিকরা। লালবাজার থেকে মুক্তি পেয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন লকেট।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালির শাহজাহানের বিরুদ্ধে নয়া মামলা, কলকাতার আশেপাশে ৬ জায়গায় হানা ইডির
এদিন হুগলির সাংসদ বলেন, সাধারণ মানুষ সন্দেশখালির নির্যাতিতের কাহিনী যাতে জানতে না পারে সেজন্য সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে রাখা হচ্ছে। তৃণমূল নেতারা গেলে তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু বাকিদের আটকানো হচ্ছে। এই পুলিশের মনে হচ্ছে মান সম্মান বলে কিছু নেই। বাড়িতে মা - বোন নেই।
এদিন লকেট বলেন, সন্দেশখালিতে সুনামি এসেছে। এই সুনামিতে বাংলায় আরও অনেক সন্দেশখালি বেরোবে। গ্রামের মেয়েরা কোনও পতাকা কোনও নেতা ছাড়া যে ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন তা অভূতপূর্ব। আর কোনও পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাঁচাতে পারবে না।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালির শাহজাহানের বিরুদ্ধে নয়া মামলা, কলকাতার আশেপাশে ৬ জায়গায় হানা ইডির
রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, উনি এখন আইনের শাসন দেখাচ্ছেন। গত ১০ বছর যে অত্যাচার হয়েছে তার বিচার কবে হবে? এতজন মহিলার সম্ভ্রম উনি কী করে ফেরত দেবেন? তিনি বলেন, মা আর মমতা মাটিতে মিশে গিয়েছে সন্দেশখালিতে।
লকেটের দাবি, সন্দেশখালির অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের নির্যতিতা মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। যেদিন ওই মহিলাদের শাহজাহান বাহিনী তুলে নিয়ে গিয়েছিল সেদিন তো পুলিশ কিছু করেনি।