বিধানসভার অধিবেশনের আগে আজ ছিল সর্বদলীয় বৈঠক। বিরোধী বলতে শুধুই ৭৫ জন বিজেপি বিধায়ক এবং এক আইএসএফ বিধায়ক। বিজেপি বিধায়করা সকলেই সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিধানসভায় উপস্থিত থেকেও সর্বদলীয় বৈঠক এড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ৭ জুলাই পেশ হবে বাজেট। কিন্তু আজ শুভেন্দুর অনুপস্থিতি নিয়ে বিধানসভার অন্দরে বেশ চর্চা হতে দেখা গেল। তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন বিধায়ক আলাদা করে কথা বলার সময় বললেন, মুখ দেখাতে লজ্জা পাচ্ছে। তাই আসেনি। আবার কেউ কেউ বললেন, অন্য ছক কষছে। তাই আসেনি। আবার এও শোনা গেল, চর্চায় থাকার জন্যই এই অনুপস্থিতি।
এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ শুরু হয় এই সর্বদলীয় বৈঠক। এই বৈঠক ও বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটির বৈঠকের জন্যে বিজেপি ৬ জনের নাম পাঠিয়েছিল। তাতে নাম ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু এদিন দুপুর ২টো নাগাদ বিধানসভায় আসেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও স্পিকারের চেম্বারে না এসে তিনি বসে থাকেন নিজের ঘরে। বৈঠকে যোগ দিতে চলে আসেন বিজেপির দুই বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ও তাপসী মণ্ডল। কিন্তু তাদের নাম স্পিকারের কাছে না থাকায় তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
সোমবার দেখা গেল, বিধানসভায় এসেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সর্বদলীয় বৈঠকের আগে বিজেপি পরিষদীয় দল তাঁর নেতৃত্বেই নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসে। সূত্রের খবর, আসন্ন অধিবেশনে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে বিজেপি সরব হবে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে বলে স্ট্র্যাটেজি ঠিক করা হয়েছে। আবার পিএসি চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। আর সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসা মুকুলকে কেন্দ্র করে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ করার জন্য ইতিমধ্যেই স্পিকারের দ্বারস্থ হয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই এই বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে বৈঠক শেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মোটামুটি সবাই। তবে তিনি এও বলেন, ‘সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধী দলনেতার উপস্থিতি কাম্য ছিল। তিনি থাকলে ভাল হতো। কারণ, এই বৈঠকেই বিধান পরিষদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ শুভেন্দু আগেই জানিয়েছেন, আগামী ১৬ জুলাই স্পিকারের কাছে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের স্বপক্ষে তথ্য ও নথি তুলে ধরবেন তিনি। শুনানিতে উপস্থিত থাকবেন তিনি নিজে। যদিও খাতায়–কলমে বিজেপির বিধায়ক হওয়ায় মুকুলের ওই পদে বসায় কোনও বাধা নেই।