পিএসি চেয়ারম্যান মুকুল রায় কেন হবেন? এই প্রশ্ন তুলে বিস্তর দৌড়াদৌড়ি করেও খুব একটা লাভ হয়নি বিজেপির। তার উপর বিধায়ক পদ খারিজের দাবি নিয়ে আদালত পর্যন্ত যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাতে মুকুল রায়ের কটাক্ষ, ‘যাক না যেখানে খুশি’। এই পরিস্থিতিতে এবার অভিনব পদক্ষেপ করল বিজেপি। বাংলায় বিধানসভায় কেমন করে রীতি–নীতি এবং নিয়ম লঙ্ঘন করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার এবং বিরোধী দলনেতাদের চিঠি পাঠাল বিজেপি পরিষদীয় দল। চিঠি লিখেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে এইসব রাজ্য বিজেপি শাসিত বলেই সূত্রের খবর।
তবে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকেও। তাঁর সঙ্গে দেখাও করে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বেআইনিভাবে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে (পিএসি) মুকুল রায়ের চেয়ারম্যান হওয়াকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে এই ছক কষেছে বিজেপি পরিষদীয় দল। ইতিমধ্যে এই ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়।
এবার মুকুল–প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করতে চান শুভেন্দু অধিকারী। তবে এখনও তারিখ চূড়ান্ত করা হয়নি রাইসিনা হিলস থেকে। বিজেপি যে ৬ জন বিধায়কের নামের তালিকা দিয়েছিল, সেখানে মুকুল রায়ের নাম ছিল না। তাহলে তাঁকে কীভাবে বিজেপি দ্বারা মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে দেখানো হচ্ছে? এই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে বারবার।
এই বিষয়ে পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, ‘স্পিকার যাঁকে চাইবেন তাঁকে চেয়ারম্যান করবেন। কোনও নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই। স্পিকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমাদের কোনও ভূমিকা নেই।’ অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের এক আইনজীবীও বলেছিলেন, ‘আইনসভায় স্পিকারই সর্বময় কর্তা। তাই তাঁর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতও হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’ তাই এবার মুকুলকে অপদস্থ করতে ভিন রাজ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই পদক্ষেপে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারেরও ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হবে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা।