একুশের নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি বিধায়ক ভাঙন ঠেকাতে পারছে না। ইতিমধ্যেই ৭১ আসনে এসে ঠেকেছে বিধায়ক সংখ্যা। এখন দলের অন্দরে যে কোন্দল শুরু হয়েছে তাতে এই সংখ্যা আরও কমতে পারে। অর্থাৎ বিধায়ক ব্যাঙ্কে ধস নামতে পারে। মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেই বিজেপিকে ঘোল খাইয়েছেন। পিএসি চেয়ারম্যান পদ থেকে শুরু করে বিধায়ক পদ ধরে রেখেছেন। তা নিয়ে এখনও এসপার–ওসপার করতে পারেনি বিজেপি। তাই আর যাতে ভুগতে না হয় সেজন্য বাকি দলত্যাগী বিধায়কদের বিরুদ্ধে বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ইতিমধ্যেই গেরুয়া সংস্রব ত্যাগ করেছেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। একই পথে হেঁটেছেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসও। এবার তাঁদের বিধায়কপদ খারিজ করার আবেদন করে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ওই চিঠিতে শুভেন্দু লেখেন, ‘বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের বিধায়কপদ খারিজের আবেদন করছি। যত দ্রুত সম্ভব ওই পদ খারিজ করা হোক।’ বিশ্বজিতের ক্ষেত্রেও একই চিঠি জমা পড়েছে।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের পরে মুকুল রায়, তন্ময় ঘোষ, বিশ্বজিৎ দাস, সৌমেন রায় বিজেপি সংস্রব ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এখন আরও বেশ কয়েকজন বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন। ফলে যে কোনও মুহূর্তে তা ঘটতে পারে। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর চিঠি রাজ্য–রাজনীতিতে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। দল ছেড়ে অন্য দলে গেলেও বিজেপি যে তাঁদের সহজে ছাড়বে না তা এই চিঠির মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন।