বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ তুমুল বৃষ্টির পূর্বাভাস

আবার নিম্নচাপে ভারী বৃষ্টির ভ্রুকূটি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নচাপটি অবস্থান করছে উত্তর–পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর।

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গে তুমুল বৃষ্টির পূর্বাভাস (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই)

আবার নিম্নচাপে ভারী বৃষ্টির ভ্রুকূটি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নচাপটি অবস্থান করছে উত্তর–পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে।ওড়িশায় একটি ঘূর্ণাবর্তও রয়েছে। তার প্রভাবে আগামী কয়েকদিন ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। নিম্নচাপটি ক্রমশ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে প্রভাব ফেলবে। শক্তি সঞ্চয় করে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে আগামী রবিবার। তার জেরে আরও এক দফায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ–সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের পাশাপাশি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে অসম, তাইল্যান্ড উপসাগর এবং আরব সাগরের মহারাষ্ট্র উপকূলে। তার প্রভাবে আগামী কয়েকদিন ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, কোঙ্কন, গোয়া, পুদুচেরি, অরুণাচলপ্রদেশ, অসম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে।

বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি ভোগাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। দু’‌এক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.২ ডিগ্রি। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ৬৩ থেকে ৯৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩.৫ মিলিমিটার।