আনুগত্য নয়, পারফরম্যান্সই আসল কথা। সাফ জানিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে জন্মদিন পালনের মধ্যেই ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ জানান, কোনও নেতা কেমন করছেন, তাঁরা কতটা কার্যকরী হয়ে উঠেছেন, কতটা ছাপ ফেলতে পারছেন, সেটা বিবেচনা করা হবে। আর সেটার ভিত্তিতেই সংশ্লিষ্ট নেতার বিচার করা হবে এবং তাঁর মার্কশিট তৈরি করা হবে বলে সাফ জানিয়েছেন অভিষেক।
একটাই মাপকাঠি- পারফরম্যান্স!
তবে নয়া তৃণমূলে যে পারফরম্যান্সই শেষ কথা বলবে, সেটা ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই অভিষেক বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। পুরসভা বা পঞ্চায়েতের ভোটে টিকিট পেলেন। জিতে গেলেন। আর তারপর হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচনের সময় যদি সংশ্লিষ্ট নেতার এলাকায় তৃণমূল ভালো ফলাফল না করে, তাহলে সেটার ফল ভুগতেই হবে। মাথার উপরে যত বড় নেতারই আশীর্বাদ থাকুক না কেন, সংশ্লিষ্ট নেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অভিষেক।
নিষ্ক্রিয় থাকার ‘রোগ’ কাটাতে কড়া বার্তা অভিষেকের
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনের সময় নীচুস্তরের নেতারা অনেক সময় নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকেন। পঞ্চায়েত সদস্য বা কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধেও সেরকম অভিযোগ ওঠে। তার জেরে কোনও কোনও এলাকায় দল পিছিয়ে পড়ে। আর সেই প্রবণতায় ইতি টানতেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সেই কড়া বার্তা দিয়ে আসছেন বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত।
রদবদলের জন্য আগেই রিপোর্ট দিয়েছেন অভিষেক
আর সেটার ভিত্তিতেই যে তৃণমূলের রদবদল করা হবে, সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়েছেন, একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে যেটা বলেছিলেন, সেইমতো কাজ করেছেন। চোখের অস্ত্রোপচার হওয়ার আগেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই রিপোর্ট দিয়ে গিয়েছিলেন।
অভিষেক জানিয়েছেন, কোথায় কাকে আনতে হবে, কোথায় কাকে দায়িত্ব আনতে হবে, সেটা বলে গিয়েছিলেন তিনি। তবে উপ-নির্বাচনের পাশাপাশি একগুচ্ছ কাজের চাপে এখনও তৃণমূল সুপ্রিমো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন অভিষেক।