ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ কেবলমাত্র বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্যবৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। যে কারণে ধরে নেওয়া হয়েছিল, নতুন বছরের দ্বিতীয় মাসে অন্তত মধ্যবিত্তের হেঁশেলে সরাসরি মূল্যবৃদ্ধির থাবা এসে পড়বে না। তবে আবার বাড়ল ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের দাম। একধাক্কায় ২৫ টাকা বাড়ল দাম। বৃহস্পতিবার থেকে ৭৪৫ টাকা ৫০ পয়সা দাম দিয়ে কলকাতায় কিনতে হবে ভর্তুকিবিহীন রান্নার গ্যাস। ফের রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ায় তিতিবিরক্ত আমজনতা।
গ্যাসের দাম সংশোধনের যে প্রথা বহু বছর থেকে চালু ছিল তা আগেই ভেঙেছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলি। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ তেল কোম্পানিগুলি জানিয়েছিল, গার্হস্থ্য ভর্তুকিবিহীন ১৪.২ কিলো রান্নার গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত থাকবে। কিন্তু ওই দিনই মধ্যরাতে এক ধাক্কায় প্রত্যেক সিলিন্ডারে ৫০ টাকা দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখানেই শেষ নয়, তারপর আবার ৫০ টাকা বাড়ে গার্হস্থ্য ভর্তুকিবিহীন সিলিন্ডারের দাম। এক মাসে রান্নার গ্যাসে ১০০ টাকা মূল্যবৃদ্ধি চমকে দিয়েছিল সাধারণ মানুষকে। এবারও এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।
এবার ৪ তারিখ থেকে কার্যকর হল রান্নার গ্যাসের নতুন দাম। গত মাস পর্যন্ত ৭২০ টাকা ৫০ পয়সা দিয়ে রান্নার গ্যাস কিনতে হত আমজনতাকে। বৃহস্পতিবার থেকে সেদিন শেষ। কারণ, একধাক্কায় ২৫ টাকা বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম। ফলে ৭৪৫ টাকা ৫০ পয়সা দিয়ে কিনতে হবে রান্নার গ্যাস। ডিসেম্বর থেকে তিন দফায় বাড়ল গ্যাসের দাম। ১৩ দিনের ব্যবধানে ডিসেম্বরে দু’বার বেড়েছিল গ্যাসের দাম। তারপর ফেব্রুয়ারি মাসে ফের ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ল।
তবে ১৯ কিলো বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম কমেছে। তা ৫ টাকা ৫০ পয়সা কমে হল ১৫৯৮ টাকা ৫০ পয়সা। এই মাসের ১ তারিখ বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম ১৯৪ টাকা বেড়ে হয়েছিল ১৬০৪ টাকা। আজ বৃহস্পতিবার থেকে নয়া দর কার্যকর হবে। মে মাস থেকেই অনেক গ্রাহক গ্যাসে ভর্তুকি একপ্রকার পাচ্ছেনই না। পেলেও অনেকে পাচ্ছেন নামমাত্র। এক্ষেত্রে সরকারের যুক্তি, আন্তর্জাতিক বাজারে দামের হেরফেরের জন্য ভর্তুকির পরিমাণ ক্রমশ কমছে। কারণ যাইহোক, দিনের শেষে রান্নার গ্যাসের জন্য মোটা টাকা গুনতে হচ্ছে আম নাগরিকদের। চাল, ডাল, আলু, পিঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম আকাশছোঁয়া।