কার্যত লকডাউনে বন্ধ হয়ে রয়েছে ওলা-উবারের মতো অনলাইন ক্যাব পরিষেবা। এসি গাড়িগুলোর বুকিং থেকে শুরু করে সাধারণভাবে ভাড়ার সমস্ত প্রক্রিয়া স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। ফলে, কর্মহীন হয়ে পড়েছেন ক্যাব চালকরা। অনেকে সংসার চালানোর জন্য বিভিন্ন পেশা বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
জরুরিভিত্তিক কাজ আগে থেকেই চালু ছিল। ইতিমধ্যেই হোটেল রেস্তোরাঁর মতো একাধিক পরিষেবায় বিশেষ ছাড়ও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এবার শহরের এসি গাড়িগুলোকেও যাতে ছাড় দেওয়া হয়, সেজন্য একগুচ্ছ দাবিদাওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাল লাক্সারি ট্যাক্সি এসোসিয়েশন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে এই আবেদন জানিয়েছেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর ঘোষ।
আবেদনে তিনি জানিয়েছেন যে, অতিমারীর কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেও যখন বিভিন্ন দোকান, বাজার মতো একাধিক পরিষেবা চালু করার অনুমতি দিয়েছে সরকার, তখন ওলা, উবের, লাক্সারি ট্যাক্সি-সহ বিভিন্ন এসি-নন এসি ছোটে গাড়িগুলোকেও রাস্তায় বের হওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। তাহলে এই পরিষেবায় যারা যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের কিছুটা সুরাহা হবে। এছাড়াও শঙ্করবাবু আবেদনপত্রে বেশ কয়েকটি বিষয়ে ছাড়ের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গাড়ির ট্যাক্স পারমিট, সিএফের ক্ষেত্রে জুন মাস পর্যন্ত আগেই ছাড় দেওয়া হয়েছিল। এই মুহূর্তে সেই ছাড়টা যদি আরও ছ’মাস বাড়ানো যায়, তাহলে অনেকটাই উপকার হবে। এছাড়াও ব্যাঙ্কের ইএমআই জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে গাড়ির মালিকদের উপর বিভিন্নভাবে চাপ আসছে। সেইমতো ব্যাঙ্কগুলো যদি এই বিষয়ে কিছুটা ছাড় দেয়, তাহলে তাঁদের ঋণের কিস্তি মেটাতে সুবিধা হবে। এছাড়াও চালকদের এলাকাভিত্তিক করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্যেও আবেদন জানানো হয়েছে।
সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্যত লকডাউনে ৫০ হাজারের মতো এই ধরনের লাক্সারি গাড়িগুলো বসে আছে। পরিষেবা বন্ধ হওয়ায়, এই পেশায় যাঁরা যুক্ত তাঁদের অত্যান্ত শোচনীয় অবস্থা। সংগঠনের আবেদন, সেক্ষেত্রে যদি গাড়ি চালানোর বিষয় বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়, তাহলে এই পেশার সঙ্গে যুক্তরা বাঁচবেন।