করুণাময়ীতে ঠাকুরের লরি আটকানোর জেরেই ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছিল বলে দাবি করল তৃণমূল কংগ্রেস। মহালয়ার আগের রাতে টালিগঞ্জের করুণময়ীতে প্রতিবাদ মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আন্দোলনকারীদের দাবি, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে যে মিছিল হচ্ছিল, তাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই তৃণমূল কাউন্সিলর রত্না শূরের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। যদিও পালটা তৃণমূলের দাবি, ঠাকুরের লরি আটকানোর জেরেই যাবতীয় ঝামেলার সূত্রপাত হয় করুণাময়ীতে। মারধরের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর।
‘ব্যস্ত রাস্তা আটকে বিপ্লব করছিল CPIM’
রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি এবং সোশ্যাল মিডিয়া উইংয়ের তরফে অভিযোগ করা হয়, ‘গতকাল রাতে টালিগঞ্জ করুণাময়ীর ব্যস্ত রাস্তা আটকে বিপ্লব করছিল সিপিএম। আটকে পড়ে মা দুর্গার লরি। তারপর সাধারণ মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়।'
সেইসঙ্গে তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি এবং সোশ্যাল মিডিয়া উইংয়ের তরফে দাবি করা হয়, ‘স্বমহিমায় প্যান্ডেলের উদ্দেশে রওনা দেন মা দুর্গা।’ একইসুরে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সম্পাদক সন্দীপন মিত্র বলেন, 'ঠাকুরের লরি আটকে বিপ্লব করতে গেলে তো মানুষ রেগে যাবেনই!’
আন্দোলনকারীরা কী দাবি করেছেন?
আন্দোলনকারীদের দাবি, মঙ্গলবার রাতে করুণাময়ীতে মিছিলের সময় হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল চলছিল। আচমকা করুণাময়ী বাজার এবং লাগোয়া বস্তি থেকে কয়েকজন চলে আসেন। ধাক্কা মারা হয় আন্দোলনকারীদের। গায়ে হাত তোলা হয়। রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ তোলেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: Jawhar Sircar: ‘আপনাদের পাশে থাকব বলে ইস্তফা দিয়েছি, এবার কাজে ফিরুন,’ জুনিয়র ডাক্তারদের আবেদন জহরের
তাঁরা আরও দাবি করেছেন যে মারধর করেছেন কাউন্সিলর। রেহাই পায়নি মহিলা এবং শিশুরাও। আর সেই ঘটনার সময় পুলিশ হাত গুটিয়ে বসেছিল বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, পুরোটাই পূর্বপরিকল্পিত ছিল। আর পূর্বপরিকল্পিতভাবেই তৃণমূলের কাউন্সিলরের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধেই পালটা অভিযোগ কাউন্সিলরের
যদিও আন্দোলনকারীদের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের কাউন্সিলর। তিনি দাবি করেছেন, মিছিলের বিষয়ে তিনি কিছু জানতেন না। গণ্ডগোল হচ্ছে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। মহিলা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে স্রেফ কথা বলছিলেন। তাঁদেরকে সরে যেতে বলেছিলেন। তখন তাঁকে আন্দোলনকারীরা হুমকি দেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর।
তিনি দাবি করেছেন, ঠাকুর এবং হোর্ডিং নিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তা বন্ধ করতে বারণ করেছিলেন। তিনি কিছু বলেননি। আন্দোলনকারীরাই মারামারি করছিলেন। পুরোটা সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে দাবি করেছেন কলকাতা পুরনিগমের ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।