মছলন্দপুর থেকে স্বরূপনগর পর্যন্ত রেলপথ তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। এবার সেই দাবি পূরণ কার্যত সময়ের অপেক্ষা। সূত্রের খবর, মছলন্দপুর থেকে স্বরূপনগর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য ইতিমধ্য়েই প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক কাজ বলতে প্রাথমিকভাবে সমীক্ষা করতে হয়। সেই সমীক্ষার কাজ করার কাজ শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গেই মাটি পরীক্ষার কাজও শুরু হয়েছে। এটাকে চূড়ান্ত সমীক্ষা বলেই উল্লেখ করা হচ্ছে। এরপরই ধাপে ধাপে রেললাইন পাতার কাজ করা হবে।
পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, মছলন্দপুর থেকে স্বরূপনগর পর্যন্ত রেলপথ তৈরির জন্য সমীক্ষা ও মাটি পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে মছলন্দপুর থেকে স্বরূপনগর পর্যন্ত রেলপথ নিয়ে রেল দফতরের ইতিবাচক পদক্ষেপের জেরে খুশির হাওয়া স্বরূপনগর সহ সংলগ্ন এলাকায়।
এদিকে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি মছলন্দপুর-স্বরূপনগর রেলপথ তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। তবে প্রাথমিকভাবে কিছু কাজ শুরু হলেও বাস্তবে সেই কাজ আর বেশিদূর এগোয়নি। সেই এলাকায় জমি মাপার কাজ শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সময় রেলমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর এই রেলপথ তৈরির কাজও বিশ বাঁও জলে চলে যায়। তবে সেই সময় কোন রুট দিয়ে রেলপথ হবে সেটাও ঠিক করা হয়েছিল। সেই মতো প্রস্তাবিত রেললাইন এলাকার পাশে থাকে মানুষজনকে সরানোর কাজও হয়েছিল। কিন্তু তারপরে সেটা আর এগোন যায়নি।
এদিকে স্বরূপনগর-বাদুড়িয়া ব্লকের বিপুল সংখ্যক মানুষ এই রেলপথের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। কবে এই রেলপথ বাস্তবায়িত হবে সেদিকে তাকিয়ে আছেন তারা। শেষ পর্যন্ত এই রেলপথ কবে বাস্তবায়িত হয় সেটাই এখন দেখার।
এদিকে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও এই রেলপথ তৈরির জায়গা এর আগে পরিদর্শন করেছিলেন। সেই সময় শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছিলেন রাজ্য সরকার জমির ব্যবস্থা করে দিলে কেন্দ্র এখানে রেলপথের ব্যবস্থা করতে পারবে। তবে এবার একেবারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিল রেল। এবার জমির চূড়ান্ত সমীক্ষা ও মাটি পরীক্ষার কাজ করা হয়েছে।
এদিকে এখানে রেল চালু হলে বাসিন্দাদের যাতায়াতের রোজকার খরচও অনেকটাই কমবে। কারণ ট্রেন না থাকায় অনেকের কাছেই অটো- ট্রেকারই ভরসা। এদিকে এই অটো, ট্রেকার, ভ্য়ানের ভাড়া দিতে গিয়েই যাত্রীদের পকেট ফাঁকা হয়ে যায়। তবে এবার রেলপথ চালু হয়ে গেলে সেই সমস্য়া মিটবে। বাসিন্দারা বলেন, প্রতি বছর ভোট এলেই এই ইস্যুটা সামনে আসে।