সোমবার দুই মন্ত্রী, এক বিধায়ক এবং এক প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তারপর থেকেই এই গ্রেফতারের পিছনে ষড়যন্ত্র কাজ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভার স্পিকারের অনুমতি না নিয়ে এভাবে গ্রেফতারকে বেআইনি আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এমনকী আজ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য গড়িয়াহাট থানায় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। টানটান এই পরিস্থিতিতে এবার বড় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তিতি বুধবার বলেন, ‘ঈশ্বর বিচার করবেন। মানুষ বিচার করবেন। সবাই শান্ত থাকুন। এটা অনেক বড় ষড়যন্ত্র। আদালতেই এই ষড়যন্ত্রের বিচার হবে।’ এসএসকেএম হাসপাতালের বাইরে এই কথাই বললেন মদন মিত্র।
প্রেসিডেন্সি জেলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় নারদকাণ্ডে ধৃত চার হেভিওয়েটের মধ্যে তিনজন—সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি। কিন্তু তাঁদের এই হাসপাতালে ভর্তি কতটা সঙ্গত তা জানতে মরিয়া সিবিআই। এমনকী এবার নিজস্ব মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে চলেছে সিবিআই। ধৃতদের সেখানেই শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখা হবে।
ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন তিন হেভিওয়েটকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হল? হাসপাতালের রিপোর্ট কী সঠিক? এই সব প্রশ্নের পাশাপাশি নিজস্ব মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে চলেছে সিবিআই। এইমসের পাঁচ বিশিষ্ট চিকিৎসককে নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হতে পারে। রাজ্যের পক্ষ থেকে মেডিক্যাল রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে।ববি হাকিমের মেডিক্যাল রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে সিবিআইকে। সেই রিপোর্টও দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।