নারদ মামলায় ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজিরা দিলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিন শোভনের সঙ্গে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আদালত থেকে দুজনেই বেরিয়ে মামলার বিষয়ে কোনও কথা বলেননি। তবে ভোটের ফলাফল এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বাংলার প্রতিনিধি নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া দেন দুজনেই।
আরও পড়ুন: নারদ মামলায় শুভেন্দু অধিকারী গ্রেফতার নন কেন? ভরা এজলাসে প্রশ্ন উঠতেই আলোড়ন
রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সহ এনডিএ জোটের ৭২ জন মন্ত্রী। তাদের রয়েছেন বাংলার দুই মন্ত্রী। তাঁরা হলেন বালুরঘাট থেকে নির্বাচিত বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার এবং বনগাঁওয়ের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। এবারও বাংলার কপালে পূর্ণ মন্ত্রী জোটেনি। তারা দুজনের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। এই নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, ‘ওদের পার্টি ওদের মাঠ ওরা কীভাবে কাটবে সেটা ওদের ব্যাপার।’ কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করে মদন মিত্র বলেন, ‘পশ্চিমবাংলার ভাগ্যে প্রতিমন্ত্রী ছাড়া কিছুই নেই। এটাই পশ্চিমবাংলার কপাল। ১০০ দিনের কাজের টাকা পায় না। তারপরেও বড় বড় কথা বলে। লজ্জা করা উচিত।’
অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে সবুজ ঝড় দেখা গেলেও পুরসভার নিরিখে অনেকটাই ভালো ফল করেছে বিজেপি। তাতে দেখা যাচ্ছে ১২১ টি পুরসভার মধ্যে ৬৯ টি পুরসভাতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এই অবস্থায় ভোটের ফলাফল নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচন পদ্ধতিতে একটা বিশেষ ধরনের বিষয় থাকে এবং এটাই এসপেক্তেড। এটা আশ্চর্যজনক কিছু নয়। তৃণমূল আরও ভালো ফলাফল করবে এটাই আমি মনে করি।’
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এগিয়ে ছিল। আর ২০২১ সালের বিধানসভায় কী হল সেটা সবাই দেখেছে। তাছাড়া পুরসভাতে কী হয়েছে তা সবাই জানে। কিন্তু, যে কোনও নির্বাচনে মানুষের চিন্তাধারা মূল বিষয়। সেটা লোকসভায় এক ধরনের হয়, বিধানসভায় এক ধরনের, আর পুরসভায় আর এক ধরনের হয়।’ তাঁর বার্তা, যদি কোনও সমস্যা থাকে তাহলে আত্ম সমালোচনা করে সেই ত্রুটি সংশোধন করা উচিত।
এদিকে, নারদ মামলায় অভিযুক্ত রয়েছেন আইপিএস অফিসার সৈয়দ মহম্মদ হুসেন মির্জা। তাঁর আইনজীবী অভিযোগ তোলেন, কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁর মক্কেল অভিযুক্ত হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, মুকুল রায় যদি অব্যাহতি পেয়ে যায় তাহলে তাঁর মক্কেল কেন পাবেন না। অন্যদিকে, মামলাটি কী পর্যায়ে রয়েছে? তা জানতে চাইলে ইডির আইনজীবী বলেন, বিষয়টি হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।