বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Madan Mitra-Firhad Hakim: পাঁচতারা হোটেলে কর্মী সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে ফিরহাদকে কটাক্ষ মদনের

Madan Mitra-Firhad Hakim: পাঁচতারা হোটেলে কর্মী সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে ফিরহাদকে কটাক্ষ মদনের

মদন মিত্র, তৃণমূল বিধায়ক

কামারহাটির বিধায়ক জানিয়েছেন, ওই হোটেলে ৮০০ থেকে ৮৫০ জন কর্মী কাজ করেন। হোটেল কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ কর্মী তাঁকে ওই হোটেলের কর্মী সংগঠনের চেয়ারম্যান হিসেবে চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ওদের বলেছিলাম দলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

শাসকদলের কর্মী সংগঠনের দ্বন্দ্বের জেরে শহরের একটি নামী পাঁচতারা হোটেলে কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ১৪৪ ধারা জারি করেছে আদালত। কিন্তু, তার পরেও সমস্যার সুরাহা হয়নি। কর্মী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের একের পর এক বৈঠক নিষ্ফল। আদালতের জারি করা ১৪৪ ধারা কার্যত অমান্য করেই হোটেল চত্বরে বহাল দুই গোষ্ঠীর লড়াই। গত ২ মে থেকে সেখানে ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে। এই হোটেলটি রয়েছে কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের এলাকায়। তিনি এই ঘটনাকে ছোট ঘটনা বললেও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ‘কোনও রকমের অসভ্যতা মেনে নেওয়া হবে না। যত বড় নেতাই এর পিছনে থাক না কেন দল কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’ এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।

কামারহাটির বিধায়ক জানিয়েছেন, ওই হোটেলে ৮০০ থেকে ৮৫০ জন কর্মী কাজ করেন। হোটেল কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ কর্মী তাঁকে ওই হোটেলের কর্মী সংগঠনের চেয়ারম্যান হিসেবে চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ওদের বলেছিলাম দলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দলের শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের বিষয়টি জানিয়েছিলাম।’ ওই হোটেলে আরও একটি গোষ্ঠী রয়েছে বলে জানান মদন মিত্র। এরপরে ফিরহাদের মন্তব্য নিয়ে মদন মিত্র বলেন, ‘ফিরহাদ হাকিম খুব ভালো কাজ করেছেন। মেয়র হিসেবে তাঁর কাজ ভালো লেগেছে। তাই তাঁকে দিনের পর দিন আরও বেশি দায়িত্ব দিচ্ছে দল। তাঁর মাথায় আরও একটি সোনার পালক দিয়ে গৌরবান্বিত করেছে। আমি গর্বিত কারণ তিনি আমার খুব ঘনিষ্ঠ।’ এরপরে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘ফিরহাদ ঠিক কী বলেছেন আমি বুঝতে পারিনি। দলের যদি কেউ অসভ্যতা করে তাকে নিশ্চয়ই শাস্তি দেবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক বৈঠকে গিয়ে বলছেন সাধারণ মানুষ যাকে চাইবেন তাকেই মনোনয়ন পত্র দেওয়া হবে।’

কামারহাটির বিধায়ক আরও বলেন, ‘দল যদি মনে করে ফিরহাদ যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাই হবে, তাহলে সেটাই হবে। তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই। তবে দলের কর্মীদের কাছে আবেদন আপনারা সজাগ থাকুন, সতর্ক থাকুন। আমি ২৩ মাস জেলে ছিলাম। কোনওদিন দল বিরোধী কাজ করিনি। তাই দৃষ্টান্তমূলক কিছু করতে গিয়ে কেউ যদি নিজে দৃষ্টান্ত হয়ে যান তাহলে দলের মধ্যে বাজে ব্যাপার হবে।’ মদন মিত্রের এই মন্তব্যের পর ফিরহাদ সঙ্গে ফের তাঁর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল বলেই মনে করছে বিশিষ্ট মহল। যদিও সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মদন মিত্র। তিনি বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে খেলা দেখতে যাব।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন