শনিবার ত্রিপুরায় আক্রান্ত হন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতারা। তাতে বেশ কয়েকজন জখম হন। এর প্রেক্ষিতে এবার মদন মিত্র তোপ দাগলেন বিজেপিকে। এসএসকেএম-এ গিয়ে জখম তৃণমূল কর্মীদের দেখে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কামারহাটির বিধায়ক। সেই সময় তিনি বলেন, 'ত্রিপুরায় আহত কর্মীদের চিকিৎসার কোন ব্যাকআপ নেই, যেতে হবে মায়ানমার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলেদের কিন্তু ব্যাকআপ আছে বাংলাতে, এই পিজি হাসপাতাল।' তিনি আরও বলেন, 'অবিলম্বে এইরকম ঘটনা বন্ধ নাহলে দলের লক্ষ লক্ষ কর্মী তৈরি আছে। শুধু নির্দেশের অপেক্ষা।'
উল্লেখ্য, শনিবার তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলার পরদিন জখম কর্মীদেরই অতিমারী আইন ভাঙার দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের অভিযোগ, পাহাড়ি পথ ধরে যাওয়ার সময় আচমকাই তাঁদের গাড়ির উপর পাথর পড়তে শুরু করে ৷ তাতে তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের দু’টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার জন্য বিপ্লব দেবের সরকার ও তাঁর দলকেই দায়ী করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনার পর আহত তৃণমূল নেতাদের নিয়ে রবিবার মধ্যরাত নাগাদই কলকাতায় ফিরে আসেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে ত্রিপুরায় গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিষেক নিজেও। তাঁর গাড়িতে বাঁশ দিয়ে মারা হয়েছিল। তে বুলেটপ্রু গাড়ি থাকায় কোনও ক্ষতি হয়নি গাড়ির। তবে অভিষেকের অভিযোগ ছিল যে তাঁর দেহরক্ষীরা ঘটনায় জখম হন। পরে টুইটারে সেই ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন অভিষেক।
অন্যদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ, রাজনৈতিক কোনও কর্মসূচি করতে গিয়ে ত্রিপুরায় বিজেপির বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। ত্রিপুরার মাটিতে পা দিতেই হামলার মুখে পড়তে হয়েছে খোদ অভিষেককে। সে রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন দেবাংশুরা। রবিবারে অভিষককেও সরাসরি পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়াতে দেখা গিয়েছে। সব মিলিয়ে ক্রমশ চড়ছে রাজনীতির পারদ।
এদিকে ত্রিপুরায় দলীয় নেতা, কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাকে আরও বেশি করে সামনে আনার চেষ্টা করবে তৃণমূল। বিজেপি যেমন বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে ক্রমশ সুর চড়াচ্ছে, তার পাল্টা হিসাবে এবার ত্রিপুরার পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করতে চাইছে ঘাসফুলশিবির। ত্রিপুরার ঘটনার প্রতিবাদে সংসদেও ধরনা দেন তৃণমূল সাংসদরা।