দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলে এবার মদন মিত্রের আক্রমণের মুখে শিল্পী শুভাপ্রসন্ন। বুধবার বেলাগাম ভাষায় শিল্পীকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘স্তাবকতার বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনি তো উপাচার্য’।
এদিন শুভাপ্রসন্নের বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মদন মিত্র বলেন, ‘কে শুভাপ্রসন্ন? খায় না, মাথায় দেয়? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’দিন ওর বাড়িতে পায়ের ধুলো দিয়েছিল বলে শুভাপ্রসন্ন শুভাপ্রসন্ন হয়েছে। শুভাপ্রসন্নর কাছ থেকে জ্ঞান শুনবো না। যখন যেমন, তখন তেমন! আপনি যাকে স্তাবকতা বলছেন, সেই স্তাবকতার বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনি তো উপাচার্য। স্তাবকতা তো আপনিই শুরু করেছেন! আমি তো সাক্ষী!’
বেলাগাম আক্রমণ করে মদন মিত্র এর পর বলেন, ‘আপনি এবার দাঁড়কাক আঁকুন। আপনাদের কথায় একটা ভোটও এদিক-ওদিক হবে না। আর এইসব বুদ্ধিজীবী হিসেবে কেউ আপনাদের মনে করে না। আরশোলা কি পাখি? মনে হয়, কাল অমিত শাহের সঙ্গে লাইন টাইন মেরে নিয়েছেন নিশ্চয়ই। এগুলো জীব ছিল না, এইসব জীবগুলোকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতে তৈরি করেছেন’।
শুভাপ্রসন্নকে মদনের পরামর্শ, ‘আপনি ছবি আঁকুন। বজরং হিটলার এসব কি বোঝেন? আর বজরং হিটলার যেদিন রাস্তা নামবে, সেদিন আপনি চিলেকোঠায় থাকবেন। রাস্তায় থাকব আমরা। আর আজকে বজরং খারাপ হয়ে গেল। আগে যখন নাচ নাচতে যাচ্ছিলেন’।
বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শুভাপ্রসন্ন। তিনি বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চেয়েছিল। কিন্তু মমতাকে দিয়ে নয়। মমতা ছাড়া বিকল্প ছিল না। তাই আমরা মমতাকেই বলেছি। এই পরিবর্তন চাইয়ের কারিগর আমি। আমরা হেঁটেছি। সমস্ত বুদ্ধিজীবীকে এক করেছি। মমতাকে কেউ চিনত না। মমতা কোথাও এলে মানুষ চলে যেত। এমন দিন গেছে। এমন জায়গায় মমতাকে নিয়ে যাওয়ার কথা হয়েছিল, যেখানে উনি গেলে ব্যবসায়ীরা চলে যাবে বলে মমতাকে আনা হয়নি। মমতার ওই উচ্চারণ শুনে সেখানে বসে থাকা সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিরা ব্যঙ্গোক্তি করছিল। আমি তার প্রতিবাদ করেছি’।