কামারহাটিতে নন্দকুমারের মতো বাম – বিজেপি জোট করার চেষ্টা হলে ‘টপকে যাবেন’। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি দলীয় পথসভা থেকে এই মন্তব্য করেন তিনি। মদন মিত্রের মন্তব্যকে যদিও গুরুত্ব দিতে রাজি নয় বিরোধীরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মদনকে বলতে শোনা যায়, ‘যদি এখানেও বিজেপি - সিপিএম মনে করে যে এটাকেও আমরা নন্দকুমার বানাবো, এখানেও আমি সব খবর পাচ্ছি। ভিতরে ভিতরে কারা ঘোঁটবাজি করছেন। আমি থ্রেট করছি না। কিন্তু আসা যাওয়ার পথে একটু সাবধানে আসবেন। রাস্তায় খানা খন্দ আছে। বাম্পার আছে। কখন কোথায় টপকে যাবেন, তখন নিজেদের বুঝতে অসুবিধা হবে’।
জবাবে বিজেপির তরফে জোটের সওয়ালকারী সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘মদনবাবু জেল খেটে হেঁটচ খেয়ে ফেরত এসেছেন। আর রাস্তায় হুঁশিয়ারি দিতে দিতে অনুব্রত এখন জেল খাটছেন। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি গ্রামে মানুষের সঙ্গে মানুষের জোট হবে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে জনগণ জোট করবে। এক জোট হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমরা জোট করবো। এটা গ্রামের মানুষ ঠিক করবে’।
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ সৌমিত্রর বক্তব্যের বিরোধিতা করে শুরু করলেও শেষে সেখানেই এসে দাঁড়ান। বলেন, ‘বিজেপি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও জোটের কথা বলেনি। কারও কারও ব্যক্তিগত মত থাকতে পারে। গ্রামে গঞ্জে মানুষ নিজেদের মতো করে জোট করে। তবে একটা জিনিস বোঝা গেছে। মানুষ আর তৃণমূলকে পছন্দ করছে না। সেটা নন্দকুমারে প্রমাণ হয়েছে। আর মদন মিত্রের মতো লোকেরা কখন প্রকৃতস্থ থাকেন, কখন অপ্রকৃতস্থ থাকেন ঠিক নেই। মানুষ ওর কথায় তেমন গুরুত্ব দেয় না’।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘নন্দকুমারে সমবায় বাঁচাও মঞ্চের ব্যানারে ভোট হয়েছে। ওখানে সিপিএম-বিজেপির ব্যাপার নেই। তবু কী হয়েছে আমরা খতিয়ে দেখব।’