বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > কেষ্ট গড়ের দায়িত্ব নিতে চান মদন মিত্র, বললেন আমরা একই নৌকায়…জেলে আর ফুলে

কেষ্ট গড়ের দায়িত্ব নিতে চান মদন মিত্র, বললেন আমরা একই নৌকায়…জেলে আর ফুলে

মদন মিত্র, কামারহাটির বিধায়ক। 

মদন মিত্র বলেন, অনুব্রত মণ্ডল জেলে আর আমি ফুলে এটার মধ্যে তারতম্য করে লাভ নেই। অনুব্রত যে নৌকায় আমরাও সেই নৌকায়। সেই নৌকো ফুটো হবে না। সাগরদিঘিতে দোষটা অভিষেকের হলে তার গুণটাও দেখতে হবে। অনুব্রতহীন বীরভূম এমনটা নয়।

অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে দিল্লিতে ইডির হেফাজতে। তবে তিনি এখনও তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। কিন্তু কীভাবে তিনি দিল্লিতে বসে বীরভূমে দল চালাবেন তা নিয়ে রীতিমতো চর্চা তৃণমূলের নীচুতলায়। আর সেই সময়ই বীরভূমের দলের হাল ধরার ইচ্ছার কথা জানালেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তিনিও বিগত দিনে জেলে ছিলেন। এবার সেই মদনই বীরভূমে কেষ্টর ফেলে যাওয়া গড় সামলাতে চান।

মদন মিত্র  জানিয়েছেন, অনুব্রতহীন বীরভূমে পঞ্চায়েত কেমন হবে? পঞ্চায়েত অনুব্রত মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস কাউকে দেখে হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কাজ করেছেন এবং পঞ্চায়েতের এক একটা প্রকল্প বিশ্বে বন্দিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়র প্রশাসন এতটাই দক্ষ যে হোলির দিনেও কোনও ঘটনা নেই। 

তিনি বলেন, একটা অনুব্রতকে নিয়ে গেলে  হাজার হাজার অনুব্রত, আমরা সবাই রয়েছি। কারণ খেলা হবে অনুব্রতর চষা ময়দানে নয়, খেলা হবে নেতাইতে, খেলা হবে নন্দীগ্রামে। খেলা হবে বীরভূমে। সেই লাঙল চষা চাষির নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বিজেপি যত পারেন আরও ধরুন। যত ধরবেন তত আমরা জিতব। যত মারবেন তত আমরা মজবুত হব। তৃণমূল ইজ ইউনাইটেড। 

এর সঙ্গে তিনি বলেন একটা অনুব্রত মণ্ডল গেছে। কিন্তু হাজারটা মদন মিত্র, দেবাংশু তৈরি রয়েছে।  আমাকে দিন না, আমি একমাস বীরভূমে থেকে ভোট করাতে রাজি আছি। অনুব্রতর হাতে তৈরি মাটি। সেই মাটি কিন্তু বদলায়নি। রাঙা মাটি যেমন শক্ত ছিল তেমনই আছে। সেটা ভোটের দিন বোঝা যাবে। আমি বীরভূমের দায়িত্ব নিতে রাজি। অনুব্রতর তৈরি একটি গড় তিহাড় বদলাতে পারবে না। 

মদন মিত্র বলেন অনুব্রত মণ্ডল জেলে আর আমি ফুলে এটার মধ্যে তারতম্য করে লাভ নেই। অনুব্রত যে নৌকায় আমরাও সেই নৌকায়। সেই নৌকো ফুটো হবে না। সাগরদিঘিতে দোষটা অভিষেকের হলে তার গুণটাও দেখতে হবে। অনুব্রতহীন বীরভূম এমনটা নয়। বিজেপিকে যদি ভেবে থাকে ফাঁকা করে দেব লিডারদের। তবে বলছি আমরা রক্তবীজের বংশধর। আমাদের রক্ত এক ফোঁটা পড়লে সেখানে ১০ লাখ তৃণমূলকর্মী তৈরি হয়। আসলে তো পঞ্চায়েতের খেলা। আর বাংলাকে দুভাগ করার খেলা। সেটা মানুষ ধরে ফেলেছে। আগামীকাল দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াকের তলায় বিরাট মিছিল বের হবে। 

কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ চক্রবর্তীকে নিশানা করে তিনি বলেন, যত বার বার ন্যাড়া হবেন তত সুবিধা। সেলুনের খরচা বাঁচবে। স্পাটাও করিয়ে রাখবেন।

 

বন্ধ করুন