মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ২০২০ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগের দিন সোমবার পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সদর দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে পরীক্ষার বিস্তারিত জানালেন সংস্থার পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। তবে আশঙ্কার কথা এবার কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।
এদিন কল্যাণময়বাবু জানিয়েছেন, আগামিকাল পরীক্ষায় বসবেন ১০,১৫,৮৮৮ জন পরীক্ষার্থী। ২,৮৩৯টি কেন্দ্রে হবে পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩৩,০০০ কম বলে জানিয়েছেন কল্যাণময়বাবু।
আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। কেন পরীক্ষার্থী কমল মাধ্যমিকে? কল্যাণময়বাবুর ব্যাখ্যা, বিগত বছরগুলিতে পাশের হার বাড়ায় কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। যা মানতে নারাজ শিক্ষাবিদদের একাংশ। তাঁদের মতে, ক্রমশ সন্তানদের সরকার পোষিত স্কুলে পড়ানোর প্রবণতা কমছে অভিভাবকদের মধ্যে। সামান্য সামর্থ থাকলেই তাঁরা সন্তানকে পাঠাচ্ছেন ইংরাজি মাধ্যম বেসরকারি স্কুলে। এছাড়া শিক্ষায় রাজনীতির প্রকোপে সরকারি স্কুলে শিক্ষার মান পড়েছে। যার ফলে সরকারি সুবিধা বিমুখ হলেও নিতান্ত নিরুপায় ছাড়া কেউ ছেলে-মেয়েকে সরকারি স্কুলে আর পাঠাচ্ছেন না। যার ফল দেখা যাচ্ছে মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী কমার মাধ্যমে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও দ্রুতহারে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
প্রশ্নফাঁস রুখতে এবারও কড়া বিধি চালু করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কল্যাণময়বাবু জানিয়েছেন, এবছর বেলা ১১.৪০ মিনিটে উত্তরপত্রের খাম খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১১.৫০-এ বিলি করা হবে উত্তরপত্র। গত বছরের মতো এবছরও মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁস রুখতে শিক্ষকদের পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। পরা যাবে না স্মার্টওয়াচও। পর্ষদের দাবি, গত বছরগুলিতে প্রশ্নফাঁসে শিক্ষকদের ভূমিকা পাওয়া গিয়েছে, তাই এই সিদ্ধান্ত।
যে কোনও প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের কন্ট্রোল রুমে ০৩৩ ২৩৫৯ ২২৬৪, ০৩৩ ২৩৫৯ ২২৭৪ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন, ব্লু টুথ চালিত কোনও গ্যাজেট, স্মার্ট ওয়াচ বা ক্যালকুলেটর নিয়ে ঢুকতে পারবেন না।