এবার পর্ষদের কাছে মাধ্যমিক পরীক্ষাকে ত্রুটিমুক্ত করা কার্যত অগ্নিপরীক্ষা। আর সেই অগ্নিপরীক্ষায় নেমে এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে অন্য়তম অস্ত্র হল এলিগজাম। নামটা খটোমটো হলেও আসলে এটি একধরনের অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমেই এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা ব্যবস্থাকে নিশ্ছিদ্র করার উদ্য়োগ পর্ষদের। ঠিক কীভাবে কাজ করবে এই অ্য়াপ?
সূত্রের খবর, এই অ্যাপের নাম এলিগজাম। এলিক্সার সঙ্গে এগজাম(Exam) কথাটি যুক্ত করা হয়েছে। দুয়ে মিলে হয়েছে এলিগজাম। আর সেই অ্যাপে এবার বাজিমাত করবে পর্ষদ। প্রত্যেক অ্যাডিশনাল ভেনু সুপারভাইজারের কাছে এই অ্যাপ ডাউনলোড করা থাকবে। এদিকে এই অ্যাপের সঙ্গে জিও ট্যাগিং ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থাৎ কে কোথায় রয়েছে সেটা জানা যাবে অ্যাপের মাধ্যমে। পর্ষদের ৬টি ল্যাপটপের মাধ্যমে সবকটি জেলার উপর নজরদারি করা হবে। এজন্য ১২জন কর্মীকেও নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
এদিকে এই অ্য়াপের মাধ্যমে পরীক্ষা শুরু হওয়া থেকে উত্তরপত্র বেরিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সব আপডেট দেওয়া হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে পুলিশ আসা থেকে প্রশ্নপত্র আসা, উত্তরপত্র নিয়ে যাওয়া সহ সব আপডেট থাকবে পর্ষদের কাছে। এক্ষেত্রে সময়ের এদিক ওদিক হলেই জানতে চাইবে পর্ষদ। কারণ সমস্ত ক্ষেত্রে সময় নির্দিষ্ট করা রয়েছে। তার থেকে এদিক ওদিক হলেই সমস্যা। সেকারণে কোন কাজটা কখন করতে হবে, কতক্ষণ ধরে করতে হবে তা পর্ষদ নির্দিষ্ট করে দিয়েছে পর্ষদ। তার থেকে দেরি হলেই সন্দেহ হতে পারে পর্ষদের।
এদিকে এই অ্যাপের মাধ্যমে চ্যাটও করা সম্ভব। এছাড়া ভিডিয়ো কল করেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে পারবে পর্ষদ। সব মিলিয়ে পর্ষদের অফিসে বসেও যাতে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা যায় সেকারণেই এই বিশেষ অ্য়াপ।
তবে এই ধরনের অ্যাপের ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। সেকারণে তাঁদের এই অ্য়াপের ব্য়বহার সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হবে। এমনকী পরীক্ষামূলকভাবে মহড়াও হবে। সেই মহড়ার মাধ্যমেই বোঝা যাবে পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকা আধাকারিকরা আদৌ এই অ্যাপ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছেন কি না। কারণ তাঁরা যদি অ্য়াপ ব্যবহার করতে না পারেন তবে এই অ্য়াপের উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে না। সেকারণেই এই বিশেষ উদ্যোগ।
এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের মতে এবার নিয়োগ দুর্নীতির জেরে লেজেগোবরে অবস্থা হয়েছে সরকারের। সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস বা টোকাটুকি সংক্রান্ত অভিযোগ এলে সমস্যা বাড়তে পারে। সেকারণে আগাম ব্যবস্থা।