হাবড়া পুরসভার পক্ষ থেকে মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীদের জন্য় সহায়তা কেন্দ্র করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই এই ধরনের সহায়তা কেন্দ্র করা হয়েছে। কিন্তু হাবড়া পুরসভার সেই সহায়তা কেন্দ্রে যে ব্যানার টাঙানো হয়েছে সেখানে জ্বলজ্বল করছে জেলবন্দি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ছবি। রেশন কেলেঙ্কারির ভুরি ভুরি অভিযোগ যার বিরুদ্ধে সেই বালু মল্লিকের হাসি হাসি মুখের ছবি রয়েছে। আর সেই ছবিকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। রাস্তার পাশে সেই ব্যানার দেখে মুখ টিপে হাসছেন অনেকেই।
অন্যদিকে এই ব্যানারে রয়েছে ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ছবি। বিজেপির প্রশ্ন তিনি তো ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। তাঁর ছবি হাবড়ায় কেন? তবে তৃণমূলের দাবি তিনি সর্বভারতীয় নেতা। সেকারণে তাঁর ছবি রাখা হয়েছে ব্যানারে।
বিরোধীরা কী বললেন তা নিয়ে কিছু যায় আসে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় একজন সর্বভারতীয় নেতা। সাংসদ। অন্য কোনও সাংসদের সঙ্গে তার তুলনা চলে না। তাঁর ছবিটা সেজন্যই রাখা হয়েছে। এনিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। পজিটিভ কাজগুলো বলুন। টোটো অটোর ভাড়া মকুব করে দেওয়া হয়েছে। জানিয়েছেন হাবরা পুরসভার পুরপ্রধান নারায়ণ সাহা।
বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি থাকতে পারে। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় কে? রাজকুমার বলে তার ছবি? আর বনমন্ত্রী তিনি জেলে। কিন্তু তাঁর ছবি দিয়ে ঠিক কী বোঝানো হচ্ছে! যিনি জেল খাটছেন তার ছবি দিয়েছেন। এতে তো ছাত্রছাত্রীরা বিভ্রান্ত হয়ে যাবেন।
তবে কোচবিহার থেকে কাঁচরাপাড়া বিভিন্ন কর্মসূচিতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ছবি দেওয়ার একটা নজির রয়েছে। ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁর ছবি দেওয়া হয় তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেই। তবে এবার একই ব্যানারে রয়েছে বালু মল্লিকের ছবিও।
এদিকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই এদিন স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দেখা যায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সহায়তা করতে। বিভিন্ন জায়গাতেই যানজট মোকাবিলায় দেখা যায় তৃণমূলের নেতা কর্মীদের। মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছাও জানান তাঁরা। এমনকী বিভিন্ন জায়গায় মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য় অটো টোটোরও ব্যবস্থা করা হয়।