বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Madhyamik: কোলে ৫দিনের সন্তান, হাসপাতালের বেডেই মাধ্যমিকে বসলেন মালদার মা

Madhyamik: কোলে ৫দিনের সন্তান, হাসপাতালের বেডেই মাধ্যমিকে বসলেন মালদার মা

হাসপাতালের বেডেই পরীক্ষায় বসলেন মালদার ছাত্রী

সাহারাবানু খাতুন নামে অপর ছাত্রীর চার মাসের সন্তান রয়েছে। তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেই অবস্থাতেই তিনি পরীক্ষা দিতে বসেন। তিনিও অন্য বেডে পরীক্ষা দিতে বসেন। অসুস্থতা থাকা সত্ত্বেও তিনি শুধু মনের জোরে এদিন পরীক্ষায় বসেন।

একেই বলে অদম্য জেদ। পড়াশোনা করে এগিয়ে যাওয়ার প্রবল ইচ্ছা। যাবতীয় প্রতিকূলতাকে টপকে গিয়ে হাসপাতালের বেডেই পরীক্ষা দিলেন মালদার এক ছাত্রী। সেরিন সুলতানা নামে ওই ছাত্রী মালদার বৈষ্ণবনগরের কুম্ভিরা গ্রামের বাসিন্দা। বছর দেড়েক আগেই গ্রামের বাসিন্দা শরিফ মিঁয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। আর গত শনিবার তিনি প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু তাতেও তিনি হার মানেননি। হাল ছাড়েননি। পরীক্ষা দেওয়ার জেদ। আর সেই মনের জোরে পাঁচ দিনের সন্তানকে নিয়েই তিনি হাসপাতালের বেডে পরীক্ষা দিতে বসে গেলেন। চিকিৎসকদে তত্ত্বাবধানে ও পুলিশের পাহারায় তিনি হাসপাতালের বেডে পরীক্ষা দিতে বসেন। মালদার কন্য়াশ্রী।

অন্যদিকে সাহারাবানু খাতুন নামে অপর ছাত্রীর চার মাসের সন্তান রয়েছে। তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেই অবস্থাতেই তিনি পরীক্ষা দিতে বসেন।  তিনিও অন্য বেডে পরীক্ষা দিতে বসেন। অসুস্থতা থাকা সত্ত্বেও তিনি শুধু মনের জোরে এদিন পরীক্ষায় বসেন।  

পরীক্ষার্থী সেরেনার ননদ মমতাজ খাতুন জানিয়েছেন, গত শনিবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল সেরেনা। এরপর পুত্র সন্তান হয়। তবে সেই অবস্থাতেই মনের জোর নিয়ে সে পরীক্ষা দিয়েছে। নিজেই সে বলেছিল পরীক্ষা দিতে চাই। ননদ হিসাবে আমার খুব ভালো লেগেছে। বেডে বসে সন্তান নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। আমি খুব আনন্দিত। আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমি ওর পাশে সবসময় থাকব। 

অপর পরীক্ষার্থীর মা জানিয়েছেন, চার মাসের বাচ্চা আছে আমার মেয়ের। মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। সেই অবস্থাতেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর সেখানেই সে পরীক্ষা দেয়। মেয়ে বেডে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে। বাচ্চাটা বাইরে রাখা হয়েছে। মানিকচক হাইমাদ্রাসায় মেয়ে পড়ত। এদিন সে পরীক্ষা দেবে বলে জানিয়েছে। সেকারণে পরীক্ষা দিচ্ছে। খুব ভালো লাগছে। 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুজন পরীক্ষা দিচ্ছেন। আমরা যাবতীয় ব্যবস্থা করেছি। 

বলা হয় ছাত্রীদের একাংশ নানা কারণে মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে দেন। তবে সেক্ষেত্রে নজির তৈরি করলেন মালদার দুই সংখ্য়ালঘু ছাত্রী। হাসপাতালের বেডে তিনি পরীক্ষা দিলেন। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন