স্কুল শিক্ষকরা নিজের বাসস্থান থেকে কাছের বিদ্যালয়ে বদলি চান। তার জন্যই তৈরি হয়েছিল ‘উৎসশ্রী’ পোর্টাল। সেখানে আবেদন করলে পরিস্থিতি বিচার করে বদলি করা হতো। সেই কাজ এখন হচ্ছে না বলে অনেকের অভিযোগ। তবে এবার আপস বদলি বা মিউচুয়াল ট্রান্সফার খুব শীঘ্রই কার্যকর করতে চলেছে শিক্ষা দফতর বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এমনকী একই সঙ্গে তিনি জানান, মাধ্যমিক–উচ্চমাধ্যমিকের মতো পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এবার আরও সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। দুটি পরীক্ষার ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হবে আধুনিক প্রযুক্তি। যাতে কোনওরকম প্রশ্নফাঁসের পরিস্থিতিই তৈরি না হয়।
বৃহস্পতিবার রাজারহাটে একটি বেসরকারি স্কুলের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘শিক্ষকদের আপস বদলি নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে ঠিক কবে থেকে এটা শুরু হবে সেটা এখনও বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এটুকু বলতে পারি খুব দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর শীঘ্রই সেটা চালু হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আমরা আগের বিষয়গুলির রিভিউ করব। সারপ্লাস ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে আমরা একটা নীতি অবশ্যই নিয়ে আসব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেই সবটা চূড়ান্ত করা হবে।’
আরও পড়ুন: পর্যটকদের আর প্রবেশমূল্য লাগবে না, ঘোষণা করল বাগদার বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য
তবে প্রত্যেকবছর প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে বিরোধীরা জলঘোলা করার চেষ্টা করে। কিন্তু ২০২৫ সালে প্রশ্নফাঁসের সবরকম ঘটনা ঠেকাতে মাধ্যমিক–উচ্চমাধ্যমিক প্রশ্নপত্রে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, ‘২০২৪ সালে যে দুষ্কৃতী চক্র এই প্রশ্নফাঁস করেছিল তাদেরকে আমরা ধরতে পেরেছি। এবার সেসব আর তা করা যাবে না। দুই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এখন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে নিয়মিত জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। পরীক্ষা সম্পূর্ণ নির্বিঘ্নে শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
প্রশ্নফাঁসের একটা চক্র সবসময় কাজ করে। সেই প্রশ্ন মোটা টাকায় বিক্রি করা হয় ওই পরীক্ষার্থীদের। তার জন্য সরকারি স্তরে কিছু লোকজনের সঙ্গে এই চক্রের যোগ আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এভাবেই প্রশ্নফাঁস করে রাজ্য সরকারের বদনাম করা হতো। এই পদ্ধতি এখন ধরে ফেলা হয়েছে। তার পরই আধুনিক প্রযুক্তির মোড়কে প্রশ্নপত্র তৈরি করার পরিকল্পনা হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনও ঘটনাই ঘটবে না বলে আশাবাদী শিক্ষা দফতর। এখন দেখার এই বছরের মাধ্যমিক–উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কতটা সুরক্ষিত।