রাজ্যে হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্য সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে রাজ্যপাল জানান, হিংসাকে বন্ধ করার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মাফিয়ারাজ, সিন্ডিকেট রাজ চলছে।
এদিন রাজ্য সরকারকে নিশানা করে রাজ্যপাল জানান, ‘রাজ্যে হিংসার ঘটনায় আমি খুবই উদ্বিগ্ন। ভোট পরবর্তী হিংসা চলছেই। গণতন্ত্রে হিংসার কোনও স্থান নেই। রাজ্য সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’ একইসঙ্গে রাজ্যপাল জানান, ‘রাজ্যে গণতন্ত্র ধুঁকছে। সিন্ডিকেট ও মাফিয়ারাজ চলছে। কিন্তু এই সব বন্ধের জন্য সরকার কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। রাজ্যে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে। যারা নষ্ট করছে, তারা কেউ ভারতীয় নয়। পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিক।’
একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসানো নিয়েও এদিন মুখ খোলেন রাজ্যপাল। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সংক্রান্ত বিলটি আমি আইনগতভাবে যা করার করব। সংবিধান মেনে যা করার করব। বিধানসভায় বিল এনে রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে সরানো হচ্ছে। কোনও পক্ষপাতীত্ব করব না। শুধু দেখব, সংবিধানকে উপেক্ষা করে এই বিল আনা হয়েছে কিনা। যদি সংবিধানকে উপেক্ষা করা হয়, তাহলে সম্মতি দেব না।’ এদিন বিধানসভায় স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানো সংক্রান্ত বিলটি ভোটাভুটিতে পাশ হয়। এই বিলের বিরোধিতা করে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যপালের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেন তাঁরা।