গান্ধীজিকে ফলের রস খাইয়ে অনশন ভেঙেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। রাজনৈতিক কারণে ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ করার কয়েক মিনিটের মধ্যে এই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আলিপুর সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পর বলেন, ইতিহাস বিকৃতি রুখতে আরও বেশি করে ঐতিহাসিক সামগ্রী সংরক্ষণ করতে হবে।
বুধবার বিকেলে মমতা বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় দিল্লিতে সেন্ট্রাল হলে প্রোগ্রাম হল। কিন্তু গান্ধীজি সেখানে হাজির ছিলেন না। মধ্যরাতের স্বাধীনতার সময় তিনি কোথায় ছিলেন? তিনি কলকাতার বেলেঘাটায় ছিলেন। তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবস্থানে বসেছিলেন। যেন কোনও বিভাজন না থাকে। যেন কোনও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা না থাকে’।
বিজেপির বড় মিছিল হওয়ার থেকে আমি সিপিএমের বড় মিছিল হলে খুশি হই: সৌগত রায়
মমতার দাবি, ‘গান্ধীজি শান্তির জন্য অনশন করেছিলেন। বিশ্বকবি গেছেন এক গ্লাস সরবৎ নিয়ে গান্ধীজিকে খাইয়ে অনশন ভাঙাবার জন্য। গান্ধীজি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বললেন তুমি আমাকে একটা গান শোনাও। তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গেয়েছিলেন, জীবন যখন শুকায়ে যায় করুণাধারায় এসো’।
এদিন মমতা অভিযোগ করেন, দেশের ইতিহাস বিকৃত করার নতুন রীতির প্রচলন হয়েছে। সত্যের বদলে রাজনৈতিক কারণে বিকৃত ইতিহাস পড়ানো হচ্ছে।
বলে রাখি, বেশ কয়েকবছর আগে বেলেঘাটায় এক নির্বাচনী সভায় গান্ধীজি ও রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে একই রকম মন্তব্য করেছিলেন মমতা। তখন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু হয় ১৯৪১ সালে, আর গান্ধীজি কলকাতায় অনশন করেছিলেন ১৯৪৭ সালে। ফলে রবীন্দ্রনাথের পক্ষে সরবৎ খাইয়ে গান্ধীজির অনশন ভাঙানো সম্ভব নয়। ইতিহাস বিকৃত করছেন মমতা।