ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের কাছ থেকে বিপুল টাকা উদ্ধারের তদন্তে ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগরওয়ালকে গ্রেফতার করল সিআইডি। এই ব্যবসায়ীই ঝাড়ণ্ডের ৩ কংগ্রেসি বিধায়ককে ৪৯ লক্ষ টাকা পৌঁছে দিয়েছিলেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। বুধবার সকালে তাঁকে ইএম বাইপাস থেকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। এর পর শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। অসুস্থ বোধ করায় আপাতত তাঁকে SSKM হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছেন আধিকারিকরা। সেখানে চলছে পরীক্ষা নিরীক্ষা।
ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মঙ্গলবার মহেন্দ্র আগরওয়ালের লালবাজারের অফিস তল্লাশি করেন সিআইডি আধিকারিকরা। সেখান থেকে পাওয়া গিয়েছে ৩ লক্ষ ৭১ হাজার নগদ ও ২৫০টির মতো রুপোর কয়েন। যদিও ব্যবসায়ীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এমনকী বিধাননগরে তাঁর বাড়িতে গিয়েও ব্যবসায়ীর হদিশ পাননি গোয়েন্দারা।
রাজভবনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন কারা? দেখে নিন
তার পর থেকেই মহেন্দ্র আগরওয়ালের সন্ধানে ওঁৎ পেতে ছিলেন গোয়েন্দারা। বুধবার সকালে বাড়ির কাছেই ইএম বাইপাস থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। এর পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ভবানীভবনে। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন গোয়েন্দারা। এর কিছুক্ষণ পর বুকে ব্যাথা হচ্ছে বলে জানান অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে SSKM হাসপাতালে নিয়ে যান আধিকারিকরা।
SSKM হাসপাতালে মহেন্দ্র আগরওয়ালেরECG করা হয়েছে বলা জানা গিয়েছে। তবে তাতে কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি। এছাড়া তাঁর অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষা করানো হচ্ছে। ব্যবসায়ীর শরীরে অন্য কোনও জটিলতা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা।
গত শনিবার বিকেলে হাওড়ার পাঁচলার রানিহাটি মোড়ে ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেসি বিধায়কের কাছ গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৪৯ লক্ষ নগদ। এর পর ওই ৩ বিধায়ককে গ্রেফতার করে পুলিশ। টাকা কোথা থেকে এল ও কোথায় যাচ্ছিল তা খতিয়ে দেখতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তদন্তে নেমে সিআইডির দাবি, মধ্য কলকাতার এক হোটেলে বিধায়কদের কাছে ওই টাকা পৌঁছে দেন মহেন্দ্র আগরওয়াল নামে ওই ব্যবসায়ী।
পরেশের জায়গায় স্নেহাশিস, সুব্রতর শূন্যস্থানে প্রদীপ, দেখে নিন হচ্ছেন কোন মন্ত্রী
সিআইডির দাবি, নিজেকে শেয়ারের কারবারি বলে দাবি করলেও মহেন্দ্র আগরওয়াল আসলে একজন হাওয়ালার কারবারি। সিআইডির দাবি, ঝাড়খণ্ডে JMM – কংগ্রেস সরকার ফেলার জন্য মহেন্দ্র আগরওয়ালের মাধ্যমে ওই টাকা বিধায়কদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল বিজেপি। মহেন্দ্র আগরওয়ালের সঙ্গে বিধায়কদের পরিচয় করিয়ে দেন দিল্লির এক বাঙালি ব্যবসায়ী। সিআইডির তরফে জানা গিয়েছে, কার নির্দেশে ওই ব্যবসায়ী এই বিপুল টাকা ওই বিধায়কদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা করবেন গোয়েন্দারা।