টুইটারে ফের বেঁধে গেল তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। এবার রাজ্যপালকে একেবারে ‘আঙ্কেলজি’ বলে সম্মোধন করে চরম কটাক্ষ করলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। লিখলেন, বিজেপিতে নেতাদের উত্থান হয় কার হাতে কত রক্ত রয়েছে তার ভিত্তিতে।
ঘটনার সূত্রপাত গতকাল। রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে এক টুইট করেন মহুয়া। তাতে গড়িয়া শ্মশানকাণ্ডে দেহগুলি করোনায় মৃত বলে দাবি করায় ধনখড়ের সমালোচনা করেন তিনি। সঙ্গে লেখেন, পচা আপেল গাছের নীচেই পড়ে। বেশি দূর যায় না।
তার দিন কয়েক আগে ফেসবুকে এক ভিডিয়োয় মহুয়া পঞ্চায়েতগুলির কাজ করার পদ্ধতি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন। বলেছিলেন, ‘ই-টেন্ডার করার ভয়ে বড় কাজে হাত দেয় না পঞ্চায়েত। ওদিকে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের কোটি কোটি টাকা ফেরত চলে যায়।’ কেন্দ্রের বরাদ্দ সঠিক ভাবে খরচ হলে গ্রামে একটাও কাঁচা রাস্তা থাকার কথা নয় বলে দাবি করেন তিনি।
মহুয়ার এই দুই বক্তব্যকে মিশিয়ে শনিবার সকালে বান মারেন রাজ্যপাল। এক টুইটে তিনি দাবি করেন, ‘পঞ্চায়েতের কাজের প্রকাশ্যে সমালোচনা করায় মমতার হাতে জবাই হতে চলেছেন বুঝে রাজ্যপালের সমালোচনা করে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করছেন মহুয়া।’ সঙ্গে লেখেন, ‘তবে এরকম বহু নেতাই বশ হয়ে রয়েছেন। মহুয়াই একমাত্র নন। এতে মন খারপ হয়।’
দুপুরে তার কড়া জবাব দেন মহুয়া। রাজ্যপালকে ‘আঙ্কেলজি’ বলে সম্মোধন করে তিনি টুইটারে তিনটি জিনিস লেখেন। মহুয়া লেখেন, ‘১. যার হাতে যত রক্ত আছে বিজেপিতে তার উত্থান তত তাড়াতাড়ি হয়। তৃণমূলে উত্থান হয় কাজের ভিত্তিতে। ২. আইনজীবী হিসাবে আপনার কেরিয়ার খুব উজ্জ্বল ছিল না। অন্তত রাজ্যপাল হিসাবে রাজভবনের সম্মান রাখুন। ৩. আপনি যে কোনও সময় রাজস্থান থেকে ভোটে লড়তে পারেন। সেজন্য নিজেকে সুস্থ রাখুন।’
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের দায়িত্বে আসার পর থেকে ধনখড়ের সঙ্গে তৃণমূলের লেগেই রয়েছে। নিয়মিত টুইটে নানা ভাবে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন রাজ্যপাল। প্রকাশ্যে সরকারের সমালোচনায় মুখ হন তিনি। যা না-পসন্দ শাসকদলের। তাদের দাবি, রাজ্যপালের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছেন ধনখড়। পালটা বিজেপির দাবি, রাজ্যের একমাত্র ব্যক্তি যিনি গ্রেফতার হওয়ার ভয় না পেয়ে সত্যি কথা বলতে পারেন, তিনি হলেন রাজ্যপাল। তাই তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের তাঁকে নিয়ে যত সমস্যা।