কসবার ভুয়ো ক্যাম্পের টিকা কোথা থেকে আনা হয়েছিল? আপাতত সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে। সূত্রের খবর, জেরায় মূল পাণ্ডা দেবাঞ্জন দেব জানিয়েছেন যে বাগরি মার্কেট থেকে কোভিশিল্ডের ডোজ কিনেছিলেন। যদিও আদৌ সেই টিকা আসল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
বুধবারই কসবার রাজভাঙা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে জেরাও করা হয়েছে। ওই সূত্রের খবর, যে ‘টিকার ডোজ’ দেওয়া হচ্ছিল, তার নমুনা গবেষণাগারে পাঠানো হবে। তারপরই বোঝা যাবে, আদৌও সঠিক কোভিশিল্ডের ডোজ দেওয়া হচ্ছিল। যদিও ভুয়ো ক্যাম্পের চক্র ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যে কসবার স্থানীয়রা আতঙ্কে ভুগছেন। বিশেষত গত কয়েকদিনে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী-সহ ১০০ জনের বেশি মানুষ টিকা নিয়েছিলেন। তাঁদের মনেও ধন্দ কাটছে না।
সেই টিকাকরণ ক্যাম্পের বিষয়টি সামনে এসেছে মিমির তৎপরতার পরই। মঙ্গলবার ওই ক্যাম্প থেকে টিকা নেন মিমি। তিনি টিকাকরণের কোনও শংসাপত্র না পাওয়ার পর জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসে। পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপর রাজডাঙা থেকে গ্রেফতার করা হয় দেবাঞ্জনকে। তিনি নিজেকে আইএএস অফিসার এবং কলকাতার জয়েন্ট মিউনিসিপাল কমিশনার হিসেবে পরিচয় দিচ্ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হযেছে ভুযো পরিচয়পত্র। অভিযোগ, তাতে কলকাতা পুর কমিশনার বিনোদ কুমারের জাল সই ব্যবহার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে নীল বাতি দেওয়া গাড়ি ব্যবহার করছিলেন। সূত্রের দাবি, নিজেকে কেন্দ্রীয় সরকারের যুগ্মসচিব পদমর্যাদার দাবি করে রাজ্যের থেকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তাও চান।
তারইমধ্যে কলকাতা পুরনিগমের তরফে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে কোনও টিকা পাঠানো হয়নি। তা নিয়ে ইতিমধ্যে কসবা থানায় অভিযোগও দায়ের করেছে পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগ। তার জেরে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কোথা থেকে টিকা আসছিল কসবার ওই ক্যাম্পে? আপাতত সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হাতড়াচ্ছে পুলিশ।