দত্তপুকুর থানা এলাকার ছোট জাগুলিয়ায় মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারের প্রায় ১০ দিন পর মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জলিল শেখকে জম্মু - কাশ্মীরের সাম্বা থেকে গ্রেফতার করেছে উত্তর ২৪ পরগনা পুলিশের বিশেষ দল। এই ঘটনায় নিহত হজরত লস্করের কাটা মুন্ডু এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে কাটা মুন্ডু উদ্ধার হবে বলে আশায় তদন্তকারীরা।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি ছোট জাগুলিয়ায় বাজিতপুরে ফাঁকা মাঠে এক যুবকের মুণ্ডহীন দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। দেহের যৌনাঙ্গও ছিল কাটা। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। নিহতের হাতের ট্যাটু দেখে যুবককে গাইঘাটা থানা এলাকার আঙুলপোতা গ্রামের বাসিন্দা হজরত লস্কর বলে শনাক্ত করে পরিবারের লোকজন। জানা যায়, হজরতও একজন দুষ্কৃতী। চুরি - ছিনতাইয়ে যুক্ত ছিল সে। সম্প্রতি এক পুলিশ আধিকারিকের ছত্রছায়ায় মূলস্রোতে ফেরার চেষ্টা করছিল অভিযুক্ত।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ত্রিকোণ প্রেমের জেরে এই খুন। কলকাতার সোনাগাছির বাসিন্দা পূজা দাস নামে এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল হজরতের। কিন্তু পূজা পরে হজরতের মাসতুতো ভাই ওবাইদুল্লাহকে বিয়ে করে। তবে হজরতের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানেনি সে। এই চানাপোড়েনেই হজরতকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। যদিও মূল অভিযুক্ত জলিলকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে জানা যায় বামনগাছি স্টেশন থেকে ট্রেনে করে কলকাতা স্টেশনে যায় জলিল। এর পর জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসে ওঠে সে। সূত্র মারফৎ গোয়েন্দারা জানতে পারেন জম্মুতে গিয়ে ইতিমধ্যে সাম্বা এলাকায় ভাঙা জিনিসপত্রের কারবার শুরু করে দিয়েছিল সে। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন উত্তর ২৪ পরগনা পুলিশের আধিকারিকরা। সেখানে গিয়ে কার্যত তাড়া করে জলিলকে ধরেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে সাম্বা আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিম্যান্ড চাইবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।