সম্ভবত ডিসেম্বরে শুরু হবে মাঝেরহাট সেতুতে যান চলাচল। তার আগে সেতুতে জোর কদমে চলছে সেতুর পরীক্ষার কাজ। সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত প্রতি রাতে সেতুর ভারবহন ক্ষমতা পরীক্ষা করবেন পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা। সেই পরীক্ষায় নবনির্মিত সেতু পাশ করলে তার পর ঠিক হবে উদ্বোধনের দিনক্ষণ।
২০১৮ সালে পুজোর আগে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট সেতুর একটি স্প্যান। তার জেরে এবার বাড়তি সাবধানী পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা। নবনির্মিত সেতুতে যানচলাচলের অনুমতি দেওয়ার আগে যে যে পরীক্ষা করতে হয় তার কোনওদিই বাদ দিচ্ছেন না তাঁরা।
সেজন্য সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সেতুর ভারবহন ক্ষমতা পরীক্ষা। মাঝেরহাট সেতুর ভারবহন ক্ষমতা ৩৮৫ টন। সেই ভার সেতু বহন করতে পারছে কি না। করলেও সেতুর তখন স্বাস্থ্য কেমন থাকছে তা পরীক্ষা করছেন ইঞ্জিনিয়াররা।
সোমবার প্রথমে সেতুর বহনক্ষমতার অর্ধেক ওজনের মালবাহী ট্রাক সেতুর ওপরে রাখা হয়। খতিয়ে দেখা হয় সেতুর স্বাস্থ্য। এর পর ধীরে ধীরে সেতুর সর্বোচ্চ বহনক্ষমতার সমান ওজনের ট্রাক ওঠানো হয় সেতুর ওপরে। মোট ২০টি মালবাহী ট্রাক মঙ্গলবার রাতে ওঠানো হয় সেতুর ওপরে। সারা রাত সেতুর ওপরেই ছিল ট্রাকগুলি। ট্রেন চলাচল অবাধ রাখতে গভীর রাতে করা হয় এই পরীক্ষা।
৬৫০ মিটার দীর্ঘ মাঝেরহাট সেতুর ২২৭ মিটার অংশ ঝুলন্ত। বিশেষ ধরণের তার দিয়ে সেই অংশকে ঝোলানো হয়েছে স্তম্ভের সঙ্গে। ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন তারগুলির টান সঠিক রয়েছে কি না তা জানা যাবে এই পরীক্ষায়। দরকারে তার ঢিলে বা শক্ত করে বাঁধতে হতে পারে। সেসবের পরই সেতুতে যানচলাচলের ছাড়পত্র দেওয়া হবে।