শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ এখনও রয়েছে। তার জেরে বেশ কয়েকজন নেতা মন্ত্রী এখনও জেলে। আবার অনেক মামলা এখনও প্রমাণিতও হয়নি। ইডি–সিবিআই সক্রিয় হলেও বহু মামলা এখনও তদন্তের পর্যায়েই রয়েছে। এই আবহে এবার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজিতে (ম্যাকাউট) বড়রকমের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সিএজি অডিট রিপোর্টে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। এই দুর্নীতি সংশোধন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন উপাচার্য। আবার উপাচার্যের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলছেন চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপকরা। ফলে বিরাট সমস্যা তৈরি হয়েছে।
আর্থিক লেনদেন নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সিএজি বা ক্যাগ রিপোর্ট বলছে, এখানে একাধিক বিষয়ে দুর্নীতি হয়েছে। এমনকী বিভাগীয় বিষয়ে অর্থনৈতিক লেনদেনে মারাত্মক গড়মিল থাকার অভিযোগ উঠেছে। স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠছে। আইনকে তোয়াক্কা না করে কর্মসমিতির অনুমোদন ছাড়াই বাড়তি চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপক নিয়োগের অভিযোগ তুলেছে সিএজি রিপোর্ট। শুধু তাই নয়, এই সব নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও টেন্ডার পর্যন্ত ডাকা হয়নি। এমন সব কথাই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অগস্ট থেকে টানা একমাস বড় কর্মসূচি তৃণমূল কংগ্রেসের, জেলা সফরে কি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী?
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজিতে (ম্যাকাউট) যাতে কোনওরকম অসাধুতা না হয় তার জন্য সংশোধনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন উপাচার্য। এই বিষয়ে ম্যাকাউটের উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী বলেন, ‘গত দেড় মাস ধরে ম্যাকাউটে সিএজি অডিট চলেছে। তারা যে রিপোর্ট দিয়েছে, আমার মনে হচ্ছে একটা সংশোধন করা দরকার। কারণ, প্রশাসনিক বিষয়গুলি যদি এটা ঠিক না থাকে তাহলে এই চেয়ারে বসে সেটা ঠিক করা আমার একান্ত কর্তব্য। এই ঠিক করতে গিয়েই বাধা এসেছে।’ আসলে মৌচাকে ঢিল মেরে বিপাকে পড়েছেন উপাচার্য বলে মনে করা হচ্ছে। যা নিয়ে এখন চর্চা তুঙ্গে।
এছাড়া চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপকদের পর্যালোচনা করতে চেয়েছিলেন উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী। তাতে রাজি হননি অধ্যাপকদের একাংশ। এই নিয়ে আসলে ঠাণ্ডা লড়াই চলছিল। পরে তা প্রকাশ্যেও আসে। তৃণমূল কংগ্রেসের অধ্যাপক সংগঠনের নেতা মণিশঙ্কর মণ্ডলের কথায়, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, অধ্যাপকদের বক্তব্য অনুযায়ী, আইনতভাবেই সব হয়েছে। ওনারা যেহেতু ফুলটাইম অধ্যাপক নন, চুক্তিভিত্তিকভাবে এই পদে আছেন, তার যা নিয়ম সেটা মানা হয়েছে বলছেন অধ্যাপকরা। এরপর যদি মনে হয় মানা হয়নি তাহলে উপাচার্য সকলের সঙ্গে আলোচনায় বসুন। উনি পালিয়ে যাচ্ছেন কেন?’