রেল সুরক্ষা নিয়ে নানা সময় নানা কথা ওঠে। তবে রেলমন্ত্রকের তরফে বার বারই দাবি করা হয় যে রেলের সুরক্ষা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তার মধ্য়েই নিউ দিল্লিতে কুম্ভতে যাওয়ার পথে স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ১৮জনের।
তবে এবার রেলের সুরক্ষা ও রেলের সার্বিক উন্নতির জন্য কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে খোলা চিঠি লিখলেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।
এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন,'১) ট্রেনের ভেতরে যে যাত্রীরা রয়েছেন তাদের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করুন। দুষ্কৃতীরা যাতে পাথর ছুঁড়তে না পারে তার ব্যবস্থা করুন। তাদের পোশাক বা ধর্ম না দেখেই তাদের গ্রেফতার করুন।
২) ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য রেলস্টেশনের বাইরে ও রেলস্টেশনের ভেতরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখুন। বিশেষত বিশেষ কোনও অনুষ্ঠানের সময়।
৩) সর্বোচ্চ স্পিড কমপক্ষে ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা হিসাবে রাখুন। না হলে বন্দে ভারতের মতো ট্রেনের কোনও যৌক্তিকতা নেই। মোটামুটি একটা সাদা শতাব্দী এক্সপ্রেস।
৪) অ্যান্টি কলিশন ডিভাইসের জন্য সরকারকে বলুন আরও ফান্ডের ব্যবস্থা করতে। ( যেটা মমতা দিদি শুরু করেছিলেন)। ২-৩ বছরে অন্তত ৭০ শতাংশ ভারতীয় রেলের নেটওয়ার্ককে কভার করার চেষ্টা করুন। যদি ফান্ডের কোনও কমতি হয় তবে বিজ্ঞাপন দেওয়াটা কমিয়ে দিতে বলুন।'
'৫) সমস্ত পুরনো উৎকর্ষ, নন উৎকর্ষ আইসিএফ কোচ তুলে নিন। প্রায় ১০০ শতাংশ এলএইচবি নিয়ে আসুন।
৬) আপনাদের পাবলিক অ্যানাউন্সমেন্ট সিস্টেমকে আরও আপডেট করুন। ট্রেন আসার ঠিক আগে সেই ট্রেনের প্লাটফর্ম বদল করবেন না। অন্তত ৩০ মিনিটের একটা গ্যাপ রাখুন। যাতে সাধারণ মানুষ প্লাটফর্মে একেবারে ঠিকঠাক পৌঁছতে পারেন।
৭) সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য় যে ছাড় ছিল যেটা তাডা়তাড়ি সম্ভব ফিরিয়ে আনুন।
৮) সবশেষে দেবাংশুর পরামর্শ রিলটা একটু কমিয়ে দিন। রিয়েল জব করুন। ( আসল কাজটা করুন) দায়িত্বশীল হোন।
ধন্য়বাদান্তে
একজন উদ্বিগ্ন যাত্রী।'
লিখেছেন দেবাংশু। পরপর অন্তত ৮টি পরামর্শ দিয়েছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।
এর আগে তিনি লিখেছিলেন, ভুলিস কেন হায়রে মানুষ! সিংহাসনে পদ্মফুল, তাই তো রে তুই অকাল চিতায় পূণ্যলোভী যাত্রীকূল।
একাধিক সংবাদমাধ্য়মের রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনের ১৪ এবং ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, প্রয়াগরাজের দু'টি ট্রেন বাতিল হওয়ার পরে এই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে বলে খবর। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ রেলযাত্রীদের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। যার জেরে পদপিষ্ট হয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আরও অনেক রেলযাত্রী আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। কার্যত তারপরই একের পর এক টুইট দেবাংশুর।