সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় লাটে উঠে যাচ্ছে লকডাউন। শুক্রবার নবান্নে তেমনই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে বুঝিয়েছে, এছাড়া আর উপায়ও নেই সরকারের কাছে। তাই করোনার সঙ্গে ঘর করার জন্য মানুষকে প্রস্তুত থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিন সেকথা বোঝাতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘করোনাকে পাশবালিশ করে নিন।’
এমনিতেই লকডাউনের জেরে নিশুতি রাতে অনেকের ভরসা কোলবালিশ। তাই বলে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং শিকেয় তুলে করোনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পরমার্শে ডাক্তারবাবুরা ভ্রু কুঁচকাতেই পারেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বলতে চেয়েছেন, ঘরে বসে থাকলে চলবে না। সাবধানতা অবলম্বন করে ধীরে ধীরে কাজে-কম্মে নামতে হবে।
মমতা এদিন বলেন, ‘করোনাকে নিয়ে ঘুমান। করোনাকে পাশবালিশ করে নিন।’ সঙ্গে তিনি জানান, ‘আমার পাড়ায় দেখে আসুন না কত লোকের হয়েছে। আমি তো প্রায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছি।’
বলে রাখি, মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবেশী তথা তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের করোনা ধরা পড়েছে। তাঁর পরিবারের ২ সদস্যও করোনা আক্রান্ত। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় কর্তব্যরত বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘আমি সব সময় বলি সাবধানে কাজ করতে হবে। ববি-সুজিতকেও বলেছিলাম। না হলে আমাকে ঘরে বসে থাকতে হয়। তাহলে কাজটা কী করে হবে?’
অনেকে প্রশ্ন করছেন, করোনাকে পাশবালিশ করলে চর্বি কমবে কি? ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের এক জনসভায় মমতা বলেছিলেন, টআগেকার লোকেরা কোলবালিশ নিয়ে শুতো। কারণ কোলবালিশ ইউজ করলে পেটের বাড়তি চর্বি কমিয়ে দেয়।‘ এছাড়াও সেদিন নানা ফিটনেস টিপ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বলে রাখি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়স ৬৫ বছর। এই বয়স করোনা সংক্রমণের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। লকডাউন চলাকালীন ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের ঘর থেকে বেরনো নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। এখনো তাদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা সত্বেও নিয়মিত বাড়ি থেকে নবান্ন তো বটেই বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে পরিস্থিতি সামলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।