টিকিয়াপাড়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে এই নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বকে ‘শকুনি’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। সঙ্গে বলেন, টিকিয়াপাড়ার ঘটনা ঘটা উচিত হয়নি। পুলিশ অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে। তবে নিরপরাধদের যেন টাচ না করে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বাংলায় কটা পুলিশ স্টেশন? একটায় কিছু ঘটলে সারা ভারত জুড়ে রামায়ন, মহাভারত, বেদ, বেদান্ত করে দিচ্ছে। কত বড় বিজেপির জয়। কী করে হিউমিলিয়েট করা যায়। আরে ভাই, টিকিয়াপাড়ায় একটা ঘটনা ঘটেছে পুলিশ অ্যাকশন নেবে। তোমার এত কীসের মজা? তুমি টিকিয়াপাড়া নিয়ে সারা ভারতবর্ষে বাংলা গভর্নমেন্টকে হিউমিলিয়েট করছো। শকুনির মতো বসে আছে, কখন একটা মৃতদেহ আসবে আর সে খাবে ঠুকরে ঠুকরে। তেমনি কেউ কেউ বসে আছে, রাজনৈতিক কারণে কোনও কাজ নেই।‘
বিজেপি নেতাদের মুখ্যমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ, ‘ঝাড়ু দিতে বলুন না রাস্তায়। রাস্তাটা ক্লিয়ার হলে ভাল লাগবে। এখনই তো সাচ্চা ভারত গড়বার সময়। কাল কোনও নির্বাচন নেই যে এখন থেকে মাঠে নেমে পড়েছেন। যখন নির্বাচনের ঘণ্টা বাজবে উত্তর তখন মানুষই দেবে।‘
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘টিকিয়াপাড়ায় একটা ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটা ঘটা উচিত ছিল না। এবং ঘটনাটা খারাপ ঘটেছে। আমরা পুলিশকে বলেছি কড়া ব্যবস্থা নিতে। যারা আসল দোষী, নিরপরাধদের টাচ না করে... অন্যায় যেটা অন্যায়। সেখানে আমরা সবাইকে সমান ভাবে দেখি।‘
পশ্চিমবঙ্গের অসাম্প্রদায়িক চরিত্র মনে করিয়ে মমতা বলেন, ‘এটা বাংলা। আমরা জাতি, ধর্ম, বর্ণে বৈষম্য করি না। আমরা সব মানুষকে ভালবাসি। কিন্তু অন্যায় যে করে সে অপরাধী বলে পরিচিত হয়। তার কোনও হিন্দু নেই, মুসলমান নেই, শিখ নেই, খ্রিশ্চান নেই। সেটাকে নিয়ে হই হুল্লোড় করবেন না।‘
সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘উত্তর প্রদেশে যে পুলিশকে মারল কী করেছেন ব্যবস্থা? দিল্লিতে কত ঘটনা ঘটেছে। আমাকে প্যান্ডোরা বক্স খুলতে বাধ্য করবেন না। সিএএ বিরোধী আন্দোলনে কত লোক মারা গেছে দিল্লিতে? আমি এখনো বলিনি। কারণ আমি মনে করি এইটাকে আগে সামলাই।‘