জরুরি পরিষেবারে লকডাউনে আগেই ছাড় দিয়েছিল সরকার। কিন্তু ধন্দ ছিল হোম ডেলিভারি নিয়ে। বুধবার সেই ধোঁয়াশাও কাটিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, লকডাউনের নামে হোম ডেলিভারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে পালটা ব্যবস্থার মুখে পড়তে হবে প্রশাসনিক কর্তাদের।
বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হোম ডেলিভারির অনুমতি দিতে নির্দেশ দিয়েছি সব থানাকে। সবজিওয়ালা, মুটেদের আটকানো যাবে না। সরকারি নির্দেশ না মানলে প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সংবাদপত্র বিক্রেতা ও অন্যান্য হোম ডেলিভারির সঙ্গে যুক্তদের পাস বিলি করবে স্থানীয় থানা। বলে রাখি, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লকডাউন ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকাতেও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও ওষুধের হোম ডেলিভারিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ফের জানিয়েছেন, এক মাসের চাল একবারে তোলা যাবে রেশন দোকান থেকে। বাজার বা দোকানে বেশি ভিড় এড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘এলাকায় কারও জ্বর হলে তাঁকে সামাজিক বয়কট করা ঠিক নয়। পুলিশকে খবর দিন। কিন্তু জ্বর হয়েছে বলে এলাকাছাড়া করে দেব, এটা ঠিক নয়।‘
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সোমবার বিকেল থেকে রাজ্যের শহরগুলিতে শুরু হয়েছিল লকডাউন। মঙ্গলবার বিকেলে রাজ্যের বাকি অংশেও লকডাউন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে ২১ দিন গোটা দেশে লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পরই গরিব দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ একদিন বিনা উপার্জনে বেঁচে থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন অনেকে। এজন্য সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বানও জানান তাঁরা।