ভবানীপুর উপ নির্বাচনে কর্মীসভার মঞ্চ থেকে খড়দায় বিধানসভা উপ নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ভবানীপুরের অহীন্দ্র মঞ্চে দাঁড়িয়ে খড়দায় শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি। যদিও খড়দায় এখনো উপ নির্বাচন ঘোষণা করেনি কমিশন। কবে করবে তাও জানা নেই কারও।
বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর আসন থেকে জিতেছিলেন শোভনদেববাবু। ওই আসন থেকে তার আগে পর পর ২ বার জিতেছিলেন মমতা। নন্দীগ্রামে মমতা হারতে গত ২১ মে বিধায়কপদে ইস্তফা দেন তিনি। তবে ততদিনে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। বিধায়কপদে ইস্তফা দিলেও মন্ত্রী হিসাবে তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু নভেম্বরের মধ্যে জিতে আসতে না পারলে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে তাঁকে।
ওদিকে খড়দা বিধানসভা নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিংহের ভোটগ্রহণের পরে মৃত্যু হয়। ভোটগণনায় দেখা যায় জিতেছেন কাজলই। ফলে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন আসন্ন। ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণা করলেও খড়দা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি কমিশন। তার অপেক্ষা না করেই এদিন মমতা বলেন, ‘শোভনদা আমার জন্য ইস্তফা দিয়েছেন। উনি এবার খড়দা থেকে লড়বেন। অক্টোবর – নভেম্বরে ওখানে ভোট হয়ে যাবে। ততদিন মন্ত্রী হিসাবে শোভনদা কাজ চালিয়ে যাবেন।’
আগ বাড়িয়ে মমতার এই ঘোষণায় অবশ্য অন্য সমীকরণ দেখছেন রাজনীতির কারবারিরা। তাঁদের মতে, ভবানীপুরের ঘরের মেয়ে হলেও স্থানীয় রাজনীতিতে তাঁর তেমন অংশগ্রহণ থাকে না। সেই রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেন শোভনদেব, ফিরহাদর, বৈশ্বানররা। ভবানীপুর কেন্দ্রে শোভনদেবের অনুগামীরা দলে বেশ ভারী। দাদাকে বলির পাঁঠা করে মমতা নিজের পদে আসীন থাকতে চাইছেন, এই ধারণা থেকে নির্বাচনে যদি তাঁরা বসে যান, সেই আশঙ্কায় আগেভাগে শোভনদেবকে খড়দার প্রার্থী ঘোষণা করে রাখলেন তৃণমূলনেত্রী।