তৃণমূলের মধ্যে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের মাঝেই ব্যাটন থাকছে সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই। শুক্রবার কর্মসমিতির বৈঠকে মমতা জানিয়ে দেন আগের মতোই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি মমতা এদিন জানিয়ে দেন, ‘বাংলায় ভিত শক্ত রেখেই ভিন রাজ্যে পা বাড়াবে দল।’ এর আগে আইপ্যাকের সাথে ঘাসফুল নেতৃত্বের মনোমালিন্যের খবর আসে। এরপরই আইপ্যাক, উত্তর-পূর্ব ও বাংলা থেকে নিজেদের পাট চুকিয়ে দেওয়ার কথা বলে। তবে এই বিতর্কের মাঝেও যে সর্বভারতীয় স্তরে নিজেদের ছাপ ফেলতে তৃণমূল মরিয়া, তা এদিন বুঝিয়ে দেন মমতা।
এর আগের শনিবারই এক বৈঠকে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতি গঠিত হয়েছিল। ৩১ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে এই কর্মসমিতির সদস্যদের তালিকা দিতে হবে। সেই কারণেই তড়ঘড়ি নতুন করে পদাধিকারীদের বেছে নেন মমতা। বৈঠক শেষে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, রাজ্যসভায় জাতীয় মুখপাত্র হচ্ছেন সুখেন্দু শেখর রায়। লোকসভায় দায়িত্বে থাকবেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। উত্তর পূর্বে থাকছেন সুস্মিতা দেব, মুকুল সাংমা ও সুবল ভৌমিক। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের আহ্বায়ক হয়েছেন রাজেশ ত্রিপাঠী। অপরদিকে অশোক তানওয়ার হরিয়ানার আহ্বায়ক হন। তাছাড়া দলের অর্থনৈতিক ও বিদেশ নীতি তৈরি করার ভার যশবন্ত সিহনা, অমিত মিত্রদের উপর।
এদিকে পার্থবাবু এদিন জানান, কালীঘাটের বৈঠকে ভিনরাজ্য থেকে এদিন উপস্থিত ছিলেন লুইজিনহো ফেলেইরো, অশোক তানওয়ার, সুস্মিতা দেব, রাজেশ ত্রিপাঠী, সুবল ভৌমিকরা। এর আগে লুইজিনহো ফেলেইরোকে দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি করা হলেও এবারের তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। তবে গোয়া এবং ত্রিপুরায় দলের কাজের প্রশংসা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি জানান, বাংলায় সংগঠন অটুট রেখে বাকি রাজ্যগুলিতে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। উল্লেখ্য, এর আগে মমতা পৃথক ভাবে জানান যে ২০২৪ সালের লকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে ও পঞ্জাবে ভোটে লড়বে তৃণমূল। এই আবহে আগেভাগেই ঘুঁটি সাজাতে চাইবেন মমতা। আর তাঁর সেনাপতি থাকছেন সেই অভিষেক।