দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে বুলডোজ করে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে কেন্দ্র সরকার। মঙ্গলবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই অভিযোগ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড সংক্রমণের মোকাবিলায় কেন্দ্র পিএম কেয়ার্স (প্রাইম মিনিস্টার্স সিটিজেন অ্যাসিসটেন্স অ্যান্ড রিলিফ ইন এমার্জেন্সি সিচ্যুয়েশন) তহবিল গঠন করে। এদিন সেই তহবিল নিয়ে প্রশ্ন তুলে মমতা জানতে চান, ‘পিএম কেয়ার্সের টাকা কোথায় আছে?’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে বিজেপি–শাসিত কেন্দ্রের চোখরাঙানিতে কাজ করবেন না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে মমতা প্রশ্ন করেন, ‘পিএম কেয়ার্স তহবিলের টাকা কোথায় গেল? এই তহবিলের ভবিষ্যতের ব্যাপারে কি কেউ কিছু জানে? লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা গেল কোথায়? কেন কোনওরকম অডিট করা হয়নি? কেন্দ্র আবার আমাদের ওপর লেকচারি করছে। কোভিড মহামারী মোকাবিলায় কেন্দ্র আমাদের কী দিয়েছে?’
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে। তাই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করছে কেন্দ্র। এদিন এমনই অভিযোগ করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আইন–শৃঙ্খলার দিক থেকে দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ অনেক ভাল অবস্থায় রয়েছে।’ তাঁর অভিযোগ, ‘আমাদের বুলডোজ করতে ও হুমকি দিতে নিজস্ব সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে কেন্দ্রের সরকার। আমরা তাদের ভয় পাই না। ওরা (বিজেপি) কোনও রাজনৈতিক দল নয়, ওরা মিথ্যার আবর্জনা।’
আমফানের ক্ষতিপূরণ বিলি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে গেরুয়া শিবির। সে ব্যাপারে বলতে গিয়েই এদিন পিএম কেয়ার্সের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এদিন বলেন, ‘আমফানের টাকা দিয়ে আবার বলছে এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করাব। দু–একজন গরিব মানুষ ১–২ হাজার টাকা বেশি নিয়ে থাকতে পারেন। তবে তাও আমরা ফেরত নিয়েছি।’ এর পরই মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘আমি যদি বলি পিএম কেয়ার্সের টাকা কোথায় গেল?’
উত্তর ভারতে কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ পঞ্জাব থেকে শুরু হয়ে দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। গোটা উত্তর ভারত জুড়ে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া চাইলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি আইনের ব্যাপারে দেশের কোনও রাজনৈতিক দলই বিজেপি–র পক্ষ নিচ্ছে না। কিন্তু এই অনৈতিক আইন সাধারণ মানুষ আর কৃষকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনড় গেরুয়া শিবির।’