বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > একটা ডি-লিটের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যে চুনকালি মাখালেন মমতা: বিকাশ

একটা ডি-লিটের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যে চুনকালি মাখালেন মমতা: বিকাশ

বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। ফাইল ছবি

বিকাশবাবুর অভিযোগ, হাইকোর্টের স্পষ্ট পর্যবেক্ষণের পরেও সাধারণ মানুষের করের টাকায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়তে গেছে রাজ্য সরকার। এদের কি ন্যূনতম লাজ – লজ্জা বলে কিছু নেই’?

নিজের উচ্চাকাঙ্খা চরিতার্থ করতে দেশের অন্যতম ঐতিহ্যমণ্ডিত শিক্ষাঙ্গন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখে চুনকালি মাখালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাও আবার জনগণের করের টাকা খরচ করে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের রায়েই মঙ্গলবার শিলমোহর দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের রায় যথপোযুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন প্রবীণ আইনজীবী তথা বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

এদিন হিন্দুস্তান টাইমসকে বিকাশবাবু বলেন, ‘নিজের ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্খা চরিতার্থ করতে শতাব্দীপ্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যে চুনকালি মাখালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকজন লোভী মানুষ নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করার ব্যবস্থা করেছে। আমরা এটাকে হতে দেব না।’

তিনি বলেন, ‘উপাচার্য পদের একটা গরিমা রয়েছে। যে কেউ উপাচার্য হতে পারেন না। বাম জমানাতেও বহু উপাচার্য নিয়োগ হয়েছেন। তাদের যোগ্যতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি। কিন্তু তৃণমূলের উপাচার্য নিয়োগের মাপকাঠি যোগ্যতা নয়, আনুগত্য। উপাচার্য নিয়োগ করতে গেলে সার্চ কমিটি গঠন করতে হয়। সেই কমিটির সুপারিশে চূড়ান্ত অনুমোদন দেন রাজ্যপাল। এক্ষেত্রে সেসবের কিছুই মানা হয়নি।’

বিকাশবাবুর অভিযোগ, হাইকোর্টের স্পষ্ট পর্যবেক্ষণের পরেও সাধারণ মানুষের করের টাকায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়তে গেছে রাজ্য সরকার। এদের কি ন্যূনতম লাজ – লজ্জা বলে কিছু নেই’?

উপাচার্য পদে সোনালির পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল সুপ্রিম কোর্টে

বলে রাখি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে সোনালীদেবীর মেয়াদ বৃদ্ধিতে একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল রাজ্য সরকার। যে সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। গত ১২ সেপ্টেম্বর সেই মামলার রায়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নিয়োগ অবৈধ বলে ঘোষণা করে। সঙ্গে সোনালীদেবীকে অপসারণের নির্দেশ দেয় আদালত। আদালত স্পষ্ট জানায়, রাজ্যপালকে এড়িয়ে এভাবে উপাচার্য নিয়োগ করা যায় না। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন সোনালীদেবী ও রাজ্য সরকার।

বলে রাখি, ব্যক্তিগত পরিচয়ে সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব তথা মুখ্যমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী।

 

বন্ধ করুন