কলকাতা ও শহরতলিতে জল যন্ত্রণার দায় গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ঘাড়ে ঠেলে বৃষ্টি হলে বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ভবানীপুুরে ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটপ্রচারে মমতা বলেন, ‘বাংলা হচ্ছে একটা নৌকার মতো।’ তবে এদিন জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তির কোনও পথ বাতলাতে পারেননি তিনি। এমনকী জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতদের জন্য শোকপ্রকাশ করতেও শোনা যায়নি তাঁকে।
গত কয়েকদিনে টানা বৃষ্টিতে কলকাতা ও শহরতলিতে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৪ জনের। যা নিয়ে জনমানসে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেকথা আঁচ করে এদিন মমতা বলেন, ‘আমি অনুরোধ করবো বৃষ্টি হলে ইলেক্ট্রিকের পোলে হাত দেবেন না। এসি, টিভি বন্ধ রাখবেন। ঘরের বাইরে কম বেরোবেন। আগে বিদ্যুতের কতগুলো পকেট ছিল। এখন বজ্রপাত অনেক বেড়ে গিয়েছে। ফলে ওসব মানছে না। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে এসব হচ্ছে।’
এদিন মমতা দাবি করেন, ‘বাংলাটা হচ্ছে নৌকার মতো। ঝাড়খণ্ডে বেশি বৃষ্টি হলে ডিভিসি জল ছেড়ে দেয় বাংলায়। সল্টলেকটা হল আরও বড় নৌকা। ওখানে বাড়ি তৈরির সময় নীচু জমি ভরাট করেনি। তাই জল বেরোতে চায় না।’
জল জমার কারণ জানিয়ে বৃহস্পতিবার মমতার অনুচর তথা রাজ্যের মন্ত্রী দায় ঠেলেছিলেন উত্তরাখণ্ডের ঘাড়ে। এদিন ফের একবার ঝাড়খণ্ড ও ডিভিসিকে কাঠগড়ায় তোলার চেষ্টা করলেন মমতা। সঙ্গে বিধাননগরের জল যন্ত্রণার জন্য ঘুরিয়ে দায়ী করলেন বাম সরকারকে।