আমফান চলে যাওয়ার ৩ দিন পরেও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন কলকাতা ও ৫ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। যার ক্ষোভ আছড়ে পড়ছে রাস্তায়। জল ও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় দিন-রাত কাটাচ্ছেন কয়েক কোটি মানুষ। কোথাও বিদ্যুৎ ফেরানোর দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। এই বিক্ষোভের দায় এবার সংবাদমাধ্যম ও বিরোধী দলের ওপর ঠেললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে একথা বলেন তিনি।
মমতা বলেন, সংবাদমাধ্যমের একাংশ বিক্ষোভের খবর সম্প্রচার করছে। তারা সরকারের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। এই সময় সবার উচিত সরকারের পাশে থাকা।
মমতার দাবি, বিরোধী মনোভাবাপন্ন একদল সংবাদমাধ্যম সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এই সময় সরকারকে কাজ করতে দেওয়া উচিত। তা না করে মুষ্টিমেয় বিক্ষোভকারীর বক্তব্য তুলে ধরে জনতাকে ক্ষেপাচ্ছে তারা।
বিরোধী দলগুলির ওপরেও লোক ক্ষ্যাপানোর অভিযোগ তুলেছেন মমতা। তাঁর অনুরোধ, ‘এই সময় রাজনীতি করাটা বন্ধ রাখুন।’
বলে রাখি, গত ২০ মে রাতে পশ্চিমবঙ্গে উপকূল ও লাগোয়া জেলাগুলিতে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আমফান। প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যে আঘাত হানতে পারে তা অন্তত ১ সপ্তাহ আগে জানিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা। আর আমফান যে পশ্চিমবঙ্গেই আঘাত হানবে তা অন্তত ৩ দিন আগে জানিয়েছিলেন আবহাওয়া দফতরের ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র। তার পরও পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে এখন সংবাদমাধ্যম ও বিরোধীদের দোষারোপে করে মমতা পার পেতে চাইছেন বলে জানিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।