২১ জুলাই তৃণমূলের দলীয় সমাবেশ হচ্ছে না, রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতর নবান্নে বসে সেকথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি দফতরে বসে দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা বা বাতিল সাংবিধানিক রীতিনীতির বিরোধী বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে সেসব কবেই বা পরোয়া করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
চলতি বছর ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ হবে কি না তা নিয়ে ক্রমশ জল্পনা বাড়ছিল রাজনৈতিক মহলে। বিশেষ করে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছিল। কারণ ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতে প্রায় ১ মাস আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু করেন তৃণমূলকর্মীরা। তৃণমূলের সমাবেশের জন্য ব্যবস্থা করা হয় প্রচুর বাসের। দলের তরফে কোনও ঘোষণা না হওয়ায় জেলায় জেলায় ময়দানে নামতে পারছিলেন না দলীয় কর্মীরা। এদিন তৃণমূলনেত্রী স্পষ্ট করে জানালেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এবছর ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ হচ্ছে না। তবে নবান্নে বসে।
এদিন মমতা বলেন, ‘আগের মতো করে এ বার আর একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ হবে না‘ সঙ্গে অন্য রাজনৈতিক দলকেও তাঁর তৈরি করা উদাহরণ মানতে বলেন মমতা।
নাম না করে বিজেপিকে এ নিয়ে এদিন বিজেপিকে বারবার বেঁধেন তিনি। বলেন, ‘মানুষ বিয়ে বাড়িতে জমায়েত হতে পারছে না। ইদ, রথ পালন করতে পারছে না। তাহলে আপনারা জমায়েত করবেন কেন?’
মমতা বলেন, ‘বুধবারের সর্বদল বৈঠকেও আমি বলেছি, মিটিং মিছিল করার সময় অনেক পাবেন। এখন মানুষের সেবা করুন।’
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই যুব কংগ্রেসের মহাকরণ অভিযানে গুলি চালায় পুলিশ। ১৩ জনের মৃত্যু হয়। তখন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। তার পর থেকে ২১ জুলাই ‘শহিদ দিবস’ হিসাবে পালন করেন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা। তৃণমূল কংগ্রেস গঠনের পর ২১ জুলাই হয়ে ওঠে তৃণমূলের বাৎসরিক সমাবেশ।
এবছর ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ না হলেও বিজেপির মতো কোনও ভার্চুয়াল জনসভা হবে কি না তা জানাননি মমতা। সঙ্গে এও জানাননি পরে এই সমাবেশ পরে হবে কি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্বের দ্বিতীয় দফার শেষ একুশে জুলাই।