দফাওয়ারি বিধানসভা নির্বাচন যতই এগোচ্ছে ততই সরগরম হয়ে উঠছে রাজ্য–রাজনীতি। এবার কয়লা ও গরু পাচারে অভিযুক্ত যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বিনয় মিশ্রকে চেনেনই না বলে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই সব নানারকম নাম তুলে কথা বলার কোনও অর্থই হয় না। কারণ এমন কাউকে আমি চিনি না।’ এবারের নির্বাচনের মধ্যে প্রকাশ্যে আসা অডিও টেপ নিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘এটা অনৈতিক। কারও কথা গোপনে রেকর্ড করা ঠিক নয়। ব্যক্তিগত আলাপচারিতা সম্মতি ছাড়া রেকর্ড করা এবং তা প্রকাশ্যে নিয়ে আসা অনৈতিক।’
বিনয় মিশ্রের নামে লুকআউট নোটিশ জারি করেছে সিবিআই। কারণ কয়লা ও গরু পাচারে তার নাম উঠে এসেছে। এমনকী যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচিত বিনয়ের খোঁজে বহুবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশিও চালিয়েছে সিবিআই। এই ইস্যুকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রচার করেছেন বিজেপির নেতারা। নানাভাবে বিনয়ের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথমসারির নেতৃত্বের সম্পর্কের অভিযোগে সরব হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সেখানে তাকে দলনেত্রী চেনেন না বলায় বিজেপির তোলা দুর্নীতির ইস্যুতে জল পড়ল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগের কথা উঠলে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘আমি চিনি না। তাছাড়া কয়লা তো কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপার।’ এদিনই অন্য একটি অনুষ্ঠানে যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিনয় মিশ্রকে রাজ্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলে মান্যতা দিয়েছেন। তিনি জানান, এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিনয়কে পদ থেকে সরানো হবে না। তাঁর যুক্তি, মুকুল রায়ের মতো একাধিক অভিযুক্ত নেতাকে সর্বভারতীয় সংগঠনের পদে রেখেছে বিজেপি। তাই বিজেপির কোনও বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হবে না।