৮ জুন থেকে রাজ্যের অফিস-কাছারি খুলছে বলে শুক্রবার বিকেলে নবান্নে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, সেদিন থেকে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু ট্রেন-বাস না চললে কর্মীরা অফিসে কী করে পৌঁছবেন? এই নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায় চাকুরিজীবীদের মধ্যে। বিশেষ করে বেসরকারি চাকুরিজীবীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। রাতে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন মমতা।
শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘রাজ্যের একাধিক সংকটের মধ্যেই ৫০ শতাংশের জায়গায় ৭০ শতাংশ রাজ্য সরকারি কর্মচারীকে কাজে ফেরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ক্রাণ ও উদ্ধারকাজ আমাদের প্রথম লক্ষ্য। বজ্ঞধিত লোকবল দিয়ে গণপরিবহণকে অবাধ ও সময়ানুবর্তী রাখা হবে।‘ অর্থাৎ ১০০ শতাংশ সরকারি কর্মী কাজে ফিরছেন না।
তিনি আরও জানান, ‘বেসরকারি ক্ষেত্রের সবাইকে আমি নিরাপদে থাকতে বলব। যতটা সম্ভব ঘরের ভিতরে থেকে কাজ করুন। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা একেবারেই সেই সংস্থার পরিচালকদের হাতে। তারা তাদের কর্মীসংখ্যা অনুসারে পদক্ষেপ করবেন।‘
নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করে মমতা লেখেন, ‘বেসরকারি ক্ষেত্রকে পূর্ণ কর্মীবল নিয়ে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটা তাদেরই ঠিক করতে হবে যে কত লোককে তারা কাজে ফেরাবেন।‘
মুখ্যমন্ত্রীর এই বিবৃতিতে উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রশ্ন। বিশেষ করে বেসরকারি সংস্থার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী কতজন কর্মীকে ফেরানো হবে তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নিরঙ্কুশভাবে সংস্থার কর্তাদের হাতেই ছেড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে যে সব শিল্পে বাড়ি বসে কাজের সুযোগ নেই সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ছাঁটাই শুরু হতে পারে বলে অনুমান।