শুক্রবার আলিপুরের সৌজন্য গৃহে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল। সেখানে রাজ্যের একেবারে শীর্ষস্তরের শিল্পপতিরা হাজির ছিলেন। সেই সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। বিদেশ থেকে আসা শিল্পোদ্যোগীদের কীভাবে অভ্যর্থনা জানানো হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এদিন।
কলকাতায় থাকা একাধিক দূতাবাসের কনসালরাও হাজির ছিলেন এই প্রস্তুতি বৈঠকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে এই প্রস্তুতি সম্মেলনের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন আজ সন্ধ্যায় সৌজন্য প্রেক্ষাগৃহে আমাদের দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতিরা উপস্থিত ছিলেন। ন্যাশানাল চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধিরাও হাজির ছিলেন। কলকাতায় থাকা একাধিক দেশের কূটনীতিকরাও হাজির ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। ২০২৫ সালের বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেজ সামিট অনুষ্ঠিত হবে। তারই প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে। ক্রীড়াব্যক্তিত্বরা ও সাংস্কৃতিক জগতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে।
এদিনের বৈঠকে যে সমস্ত শিল্পপতিরা ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হর্ষ নেওটিয়া, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, রমেশ জুনেজা, উমেশ চৌধুরী, উজ্জ্বল সিনহা, সত্যম রায়চৌধুরী, দিলীপ দুগার, রুদ্র চট্টোপাধ্য়ায়, মেহুল মোহাঙ্কা সহ অন্যান্য শিল্পোদ্যোগীরা। বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী ও আমলারাও এদিন উপস্থিত ছিলেন। সেই সঙ্গেই আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচিত্র উৎসবের চেয়ারম্যান তথা পরিচালক গৌতম ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এদিন উপস্থিত ছিলেন শিল্পপতিরা। সেই সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। তবে তিনি কেবলমাত্র ক্রীড়াব্যক্তিত্ব সেটাই নয়। তিনি শিল্পোদ্যোগীও। তিনি ইস্পাত কারখানা তৈরি করছেন। এজন্য প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। তবে সেই সঙ্গেই সৌরভ জানিয়েছেন, এখানে যে মাপের শিল্পপতিরা রয়েছেন তাঁদের তুলনায় আমি কিছুই নই।
বিগত দিনে মাদ্রিদেও গিয়েছিলেন সৌরভ। সেবার তিনি মুখ্য়মন্ত্রীর সফর সঙ্গী হয়েছিলেন। এবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রস্তুতি বৈঠকেও দেখা গেল সেই সৌরভকেই।
শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বলেন, আমরা দেশের ২২টা রাজ্যে ব্যবসা করি। তবে বাংলার মতো শিল্পবান্ধব পরিবেশ দেশের কোনও রাজ্যে নেই। কার্যত এদিন দরাজ হাতে মমতার সরকারকে সার্টিফিকেট দিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা।
একটা সময় সিঙ্গুর থেকে চলে গিয়েছিলেন টাটারা। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আন্দোলনের জেরেই চলে গিয়েছিলেন টাটারা। তবে এনিয়ে ক্ষমতায় আসার পরেও নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। সর্বোপরি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে সেই সিঙ্গুর পর্ব অতীত। বর্তমানে সেই বাংলাকেই দেশের সবার সেরা শিল্পবান্ধব রাজ্য বলে সার্টিফিকেট দিচ্ছেন শিল্পপতিরা।