ইয়াসের দাপট, তার সঙ্গে ভরা কোটালের জলের উচ্ছাস। একের পর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ভেঙে নদীর জল ঢুকে পড়ে গ্রামগুলিতে। জলমগ্ন হয়ে যায় একের পর এক গ্রাম। সমুদ্রের লোনা জল ঢুকে ক্ষতির মুখে চাষের জমি।
এখানেই প্রশ্ন কী করছিল সেচদফতর? তবে কী বাঁধের নজরদারিতে গুরুত্ব দেয়নি সেচ দফতর? রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বাঁধের ফাটলের খবর পেয়েই কার্যত সেচ দফতরের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্য়মন্ত্রী বলেন,' ইরিগেশনের কাজটা আরও একটু গুরুত্ব দিয়ে করার জন্য বলব। ইরিগেশনের অনেকগুলো বাঁধ ভেঙেছে। আমফান হয়ে যাওয়ার পরে অনেকগুলি বাঁধ সারিয়েছিলাম। জানি কয়েকটি জায়গায় গতি আটকানো যায়না। প্রকৃতি আমাদের হাতে নেই। কিন্তু যে কাজগুলি আমরা করি, প্রতিবছর যদি একটা করে আমফান হয়,একটি করে বুলবুল হয়, একটা করে আয়লা হয় তবে কাজ করছি সবটাই ভেসে যাচ্ছে। সবটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হোয়াট ইজ দ্য সলিউশন? তোমাদের এক্সপার্টদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ম্য়ানগ্রোভ অনেকটা আটকায়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কংক্রিটের ব্রিজ তৈরি করলে আর দুদিন বাদে আবার নষ্ট হয়ে গেল। সরকারকে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এই টাকা আসবে কোথা থেকে। কেন্দ্র তো দেয় না। নদীমাতৃক বাংলা। কখনও এক্সপার্টদের মতামত নিয়েছ? মাটির বাঁধ করব কেন। প্রতিবছর ভেসে যাবে। মাটির বাঁধে গাছ ব্যবহার কর যেটাতে শক্ত হয়। একটা প্ল্যানিং কর। গাছগুলো পোঁতার সময় বনদফতরের সঙ্গে সমণ্বয় থাকবে। একটা টাস্ক ফোর্স করে দিলাম।মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে বনদফতর, ডিজাসটার, ইরিগেশন, অর্থ, হোম, পরিবেশ দফতর ওই টাস্ক ফোর্সে থাকবে।’